Friday, 17 March 2023

অনির ডাইরি ১লা মার্চ, ২০২৩

 

#অনিরডাইরি #কাঁথিরকিস্যা 


শ্রীমতী তুত্তুরী আমাদের দ্বাদশী কন্যা এবং পড়াশোনায় অষ্টরম্ভা। আমরা দুজনেই সরকারী নৌকর। দুজনেরই বদলীর চাকরি, বদলীর চক্করে মহানগর ছেড়েছি আমরা।  বার তিনেক স্কুল বদল হয়েছে তুত্তুরীর। শেষ বদল হয়েছে বিগত নভেম্বরে। তাম্রলিপ্ত পাবলিক স্কুল থেকে কাঁথি। তো এহেন তুত্তুরীর বর্তমান স্কুল থেকে যখন মেসেজটা ঢুকল, যে আসছে রবিবার ওনারা বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করবেন, আমাদের মস্তকে আক্ষরিক অর্থেই বজ্রাঘাত হল। যার কৃতকর্মের ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে, তিনি তো হাওড়া।  মহানন্দে মাতুলালয়ে অধিবাস করছেন।  রবিবার দিনই তাকে কাঁথি ফেরত আনতে যাব দোঁহে। 


আমার বর ক্ষণিক ভেবে বলল, “নূপুরকে পাঠিয়ে দেবো বরং।’ নূপুরবাবু দীর্ঘদিনের সরকারী বাহন চালক।  ওনাকে এই শহরের এবং আসেপাশের পঞ্চায়েত এলাকার সবাই একডাকে চেনে। উনিও সবাইকে চেনেন। ভদ্রলোক স্বভাবেও বেশ ডাকাবুকো। অনেকটা ‘দাবাং’য়ের পাণ্ডেজীর মত। ফলে উনি গেলে রেজাল্ট ঠিক নিয়েই ফিরতে পারবেন। 


নিরস্ত করলাম আমিই। লোকটা এত ভক্তি শ্রদ্ধা করে আমার বরকে, তুত্তুরী রেজাল্ট দেখিয়ে সেই ভয়-ভক্তি বিনাশ করাটা কি ভালো হবে? শ্রীমতী তুত্তুরীর রেজাল্ট তো আমি আজ থেকে আনছি না। রীতিমতো হাঁড়ি-বালতি-ছালা নিয়ে যেতে হয়। এমন ঝুড়িঝুড়ি নম্বর পায় আমার দুলালী।


ও আমিই যাবো খন রেজাল্ট আনতে, এবারও।  বরকে বললাম,একটু স্কুলে কথা বলে দেখ সোমবার দেবে কিনা। দেখা গেল স্কুল তো রাজি, বেবারে রেজাল্ট দিতে, গররাজি শ্রীমতী তুত্তুরী।  বাড়ি ফিরে যখন শুনলেন, আমি তাঁর রেজাল্ট আনতে যাব তৎক্ষণাৎ পড়ে গেলেন বাপের পায়ে। 


 “ বাবা, প্লিজ মাকে যেতে দিও না বাবা। ওই মহিলা কি রকম মারকুটে জানো তো। আমাকে আর আস্ত রাখবে না"  শুধু কাকুতিমিনতি নয়, রীতিমত উৎকোচের প্রলোভন ও দেখানো হল, " আমি তোমাকে আমেজ করে দেবো বাবা।” আমেজ বলতে, ভোলানাথ হয়ে চোখ বন্ধ করে বসবেন একজন, আর অপরজন মনের সুখে তার মাথার চুল টানবে, পিঠে সুড়সুড়ি দেবে, কান মূলে দেবে। তাতে নাকি আমার বরের ব্যাপক আমেজ হয়। কান মূললে কারো কোনদিন আমেজ হতে পারে, মা না হলে জানতেই পারতাম না। 


বাপমেয়ের যোগসাজশে শেষ পর্যন্ত আমাকে আর এ যাত্রা রেজাল্ট আনতে যেতে হল না। আমাকে বলা হল, " তুমি অফিস যাও বরং।" মাঝখান থেকে টানাপোড়েনে বেশ খানিক দেরী হয়ে গেল অফিস যেতে। আমার আপিস তমলুকে। যাতায়াতের জন্য দীঘা- কলকাতা বাসই আমার ভরসা। এমনিতে কলকাতা থেকে দীঘা যাবার হাজারে হাজারে বাস, দীঘা থেকে কলকাতা আসার বাসের সংখ্যা ও খুব কম নয়, কিন্তু অফিস টাইম পেরিয়ে গেলেই এই বাসগুলোর আর টিকি দেখা যায় না। যেহেতু আজকে বেরোতে দেরি হয়েছে, কপালে দুঃখ আছে বেশ বুঝলাম। 


অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম আমি আর নূপুর বাবু। প্রত্যহ আমাকে বাসে তুলে দেবার দায়িত্বটা উনি আগ বাড়িয়ে ঘাড়ে নিয়েছেন। উনি তো পারলে আমাকে আমার অফিসেই ছেড়ে আসেন, নেহাৎ সাহেবের রক্তচক্ষুর ভয়ে আপাততঃ দীঘা বাইপাস অবধিই আমাকে সঙ্গ দেন। 


দাবাংয়ের চুলবুল পাণ্ডের মত,রীতিমত মাঝ রাস্তায় বাস থামিয়ে আমায় তুলে দেন এবং যাতে সিট পাই সেটাও বলে দেন ড্রাইভার/কণ্ডাক্টরকে। কিন্তু আজ চুলবুলও ফেল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর যে বাসটি এল, কণ্ডাক্টর হাত তুলে দিল, সিট নেই বলে। এতটা রাস্তা প্রায় সত্তর/পঁচাত্তর কিলোমিটার, দুটো ব্যাগ নিয়ে বাসে  দাঁড়িয়ে যেতে আমি অপারগ। অগত্যা বাস ছেড়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। সেটাও নাপসন্দ নূপুর বাবুর। সতেরো বার বললেন, ‘গাড়িতে বসুন ম্যাডাম। সাহেবের বউ দাঁড়িয়ে থাকলে ভালো লাগে নাকি।’ 


বড্ড রোদ। তাই বিনা বাক্যব্যয়ে গাড়িতে তো উঠলাম, মনটা কেমন যেন খুঁতখুঁত করতে লাগল। নির্ঘাত সিট ছিল। এখানে না থাকলেও সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে বা খড়্গপুর বাইপাসে নির্ঘাত খালি হত। এই নূপুর বাবুর জন্যই আমায় তোলেনি। সবাইকে আমার বৈবাহিক পরিচয় বলার যে কি দরকার।পরিচয় জানতে পারলে আর উল্টোপাল্টা ভাড়া চাইতে পারবে না। নির্ঘাত তাই তোলেনি। 


এই রুটের এই এক দস্তুর। কোন বাঁধা ভাড়া নেই। স্থানীয়দের থেকে ৫০ নেবে তো আমার থেকে ৬০। তা নিক। কোন-কোনদিন, কোন-কোন বাস তো ১০০টাকাও চায় এবং নেয়। আমাকে দেখেই বোঝে, এ স্থানীয় অধিবাসী নয়, অমনি যাতাঃ ভাড়া চায়।  যতক্ষণ না স্থানীয়দের মত কোমর বেঁধে ঝগড়া করছি, ‘কাল ৬০ নিলে আজ ১০০ কেন দেব’, ভাড়া বাড়তেই থাকে।


দাঁড়িয়ে থুড়ি বসে আছি মিনিট পাঁচ সাতেক, আচমকা নূপুর বাবু ডেকে বললেন,‘ম্যাডাম আসুন।’ একটা সাদা স্করপিও দাঁড়িয়ে আছে, তার দরজা খুলে ধরে বললেন,‘উঠে পড়ুন। ম্যাডাম। আমার চেনা গাড়ি। এই ঠিক করে পৌঁছে দিবি কিন্তু।’ ভেবলে গিয়ে উঠেও পড়লাম, কিছু বোঝার আগেই, ড্রাইভার কিঞ্চিৎ গ্যাঁগো করে, গাড়ি ছেড়ে দিল। সামনের সিটে মস্ত ব্যাগ নিয়ে একটা লোক বসে আছে। ভাবলাম ওণারই গাড়ি হয়তো। ভ্যাবলার মত বললাম,‘ দেখুন আমি কিন্তু কিছুই জানি না। আপনি কি আদৌ নিমতৌড়ি যাচ্ছেন?’ আমার আপিস নিমতৌড়িতে। সামনের লোকটা আর ড্রাইভার উভয়ে একসাথে জানালেন, ওণারা বাগনান যাবেন। পথে আমার যেখানে প্রয়োজন, নামতে পারি। তবে রাজপথেই নামতে হবে, গলিঘুঁজিতে গাড়ি ঢুকবে না। 


সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে গাড়িটা থামতেই, এক দঙ্গল লোক হুড়মুড় করে উঠে পড়ল। এতক্ষণে বুঝলাম এটা শাটল্ খাটছে। চারজন বড় এবং একটি বাচ্ছা গাদাগাদি করে বসলাম মাঝের সিটে। পিছনেও চারজন। একটি অল্পবয়সী ছেলে কিঞ্চিৎ  আপত্তি করছিল, ড্রাইভার বলল, ‘একটু এডজাস্ করে নে ভাই। নাচিন্দায় ওণারা নেমে যাবেন, তোকে ভালো সিট দুব।’ পিছনের লোকেদের সুবিধার্থে নামিয়ে দেওয়া হল সব কাঁচ। খোলা হাইরোড ধরে হুহু করে ছুটছে গাড়ি, হাওয়ার দাপটে দম বন্ধ হয়ে আসে।পথে কিছু মানুষ উঠল। কিছু নামল। 


আজকাল আর শাড়ি পরে অফিস যেতে পারি না। যে সালোয়ার গুলো পরি, সেগুলো আমার মায়ের ভাষায়," ফেলে দিলেও, কেউ কুড়িয়ে নেবে না।" বেতনপত্রের আপাততঃ যা হাল, ভাবলাম এই বেলা মিন্ত্রা খুলে দেখি সস্তা গণ্ডায় যদি কিছু মেলে। জামা দেখছি, পার্শ্ববর্তিনী আচমকা বললেন, ‘এটা বেশ ভালো তো। ’ চমকে তাকিয়ে দেখি উনিও আমার মুঠো ফোনের দিকেই তাকিয়ে আছেন। ভদ্রমহিলা কৃশকায়, পরণে সস্তার সিন্থেটিক শাড়ি। অবিন্যস্ত কেশদাম,তেল প্যাটপ্যাটে মুখচোখ। কি বলব,বুঝতে পারলাম না। বোকার মত হাসলাম। হাসলেন উনিও লাজুক ভাবে, তারপর বললেন, ‘কিছু মনে করবেন নি। আমার আসলে কুর্তির দোকান আছে তো। তাই আপনার ফোনের দিকে চোখটা চলে গেল।’ 


সামান্য হেসে ফোনটা বন্ধ করে দিলাম। ভদ্রমহিলা গল্প বলার মুডে আছেন,আমার সাথে খোশ গপ্প জুড়লেন। জানতে পারলাম ওণারা মেলায় মেলায় ঘুরে কুর্তি-নাইটি বিক্রি করেন। তবে মিন্ত্রায় যেমন দেখছিলাম ওমন ফ্যান্সি কিছু না। পাইকারি দরে কিনে, মেলায় বিক্রি করেন। এই মুহূর্তে নন্দীগ্রামের শিবরাত্রির মেলায় দোকান দিয়েছেন। ওণার গৃহকর্তা ওখানেই আছেন এখন। সামনেই এদিকে হোলির মেলা বসবে, ভদ্রমহিলা সেখানেই গিয়েছিলেন স্টলের ব্যবস্থা করতে। কথা হয়ে গেছে, পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছে মেলা কমিটি। ভদ্রমহিলা আবার নন্দীগ্রাম ফিরে যাচ্ছেন। 


বললেন বাড়ি নন্দকুমার। জানতে চাইলাম রাতে কখন ফিরবেন মেলা  সেরে? বললেন, রাতে আর ফিরবেন না।  রাত বারোটা অবধি দোকান খোলা থাকে। তারপর সব বন্ধ করে রান্না চাপাবেন। খেয়ে দেয়ে কর্তা গিন্নী ঐ স্টলেই শুয়ে পড়বেন। চমকে উঠলাম শুনে। তাই নাকি? বললেন "হ্যাঁ। এমন কত করি আমরা। পুরো সংসারটাই উঠিয়ে নিয়ে ঘুরি। খুব কষ্ট হয় জানেন। দুটো পয়সার জন্য করি। বিক্রিটা যদি ভালো হয়, তাহলেও ভালো। না হলে খুব কষ্ট হয়। যে কোন মেলায় স্টল দিতে নিদেনপক্ষে হাজার পাঁচেক টাকা তো দিতেই হয়। কুর্তি পিছু কত আর লাভ থাকে। দশ- কুড়ি-তিরিশ টাকা। খুব জোর পঞ্চাশ।"  জানতে চাই,এবারে বিক্রি কেমন হয়েছে? জানতে চাই স্নানাদি কোথায় সারেন। কপালে হাত ঠেকিয়ে জবাব দেন, ঈশ্বরের কৃপায় বিক্রি মন্দ হয়নি। জানান মেলাতে শৌচালয়ের বন্দোবস্ত করেছে মেলা কমিটি। ওখানেই -। 


চণ্ডীপুর এসে যায়। ' আসছি ' বলে নেমে যান ভদ্রমহিলা। ওঠেন সাদা পাঞ্জাবি আর নীল লুঙ্গি পরা এক প্রৌঢ়। জানতে চান,‘নন্দকুমার যাবি ভাই?’ ড্রাইভার জবাব দেয়, ঐ পথেই তো যাচ্ছি। গাড়ির চাকা গড়ায়। জুৎ করে বসেন ভদ্রলোক। জিজ্ঞাসা করেন,‘তুই ঠিক কোথায় যাচ্ছিস বল তো ভাই?’ ড্রাইভার বলে,‘তার্-কেশ্বর যাব চাচা। ঠিক তার্-কেশ্বর নয়, হরিপাল অবধি যাব।’ প্রৌঢ় বলে,‘ আমায় নে যাবি? কত নিবি?’ আমি আর ড্রাইভার একসাথে প্রৌঢ়ের দিকে তাকাই, আপনার দরকার নন্দকুমার,আপনি খামোখা হরিপাল যাবেন কেন?প্রৌঢ় বলে, ‘ওটাই আমার স্বভাব। আমি খালি গাড়ি পেলেই উঠে পড়ি। আমার কোন গন্তব্য থাকে না। গাড়ি যেখানে নিয়ে যায়, চলে যাই। যেখানে ছেড়ে দেয়, বাড়ির পথ ধরি। পথে যা পাই , তাই খাই। রাস্তার কলের পানিতে তৃষ্ণা নিবারণ করি।’ 


মনে হল যেন বুড়ো হিমু বা নীললোহিতের সাথে দেখা হল বুঝি। এমন মানুষ এই হিসেবী, মামলাবাজ জেলায় থাকতে পারে কল্পনাতীত। ভদ্রলোক আরোও কিছু অভিজ্ঞতার গল্প শোনাতে ইচ্ছুক ছিলেন, আমার গন্তব্য এসে যাওয়ায় নেমে পড়লাম। ড্রাইভার কিছুতেই পয়সা নেবে না। নূপুর বাবু নাকি নিষেধ করেছেন। এই লোকটাকে নিয়ে আর পারি না। সামনের লোকটা প্রায় আমার সঙ্গেই উঠেছিল, সে ৭০টাকা দিল দেখে, আমিও তাই সিটে রেখে নেমে এলাম। নিলে নে, না হলে হাওয়ায় উড়িয়ে দে। ড্রাইভার তখনও বলে চলেছে,‘আমায় খুব বকবে ম্যাডাম।’ 


 এখান থেকে আমার আপিস হেঁটে দুমিনিট। আপিসে ঢুকেছি, শ্রীমতী তুত্তুরীর ফোন,‘মা আমি পাশ করে গেছি।’ বিশ্বাসই হল না প্রথম চোটে। কি বলছিস রে বাবু? বিগত নভেম্বরের মাঝামাঝি ভর্তি হয়েছে নতুন স্কুলে। সবার সাথে ভাব জমাতে না জমাতেই এসে পড়েছে ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্বশুরমশাই। সেই টানাপোড়েনের মধ্যে কিছুই দেখতে পারিনি আমি। বরের কথা তো ছেড়েই দিলাম।


 নিজেই পড়েছে, নিজেই পরীক্ষা দিয়েছে মেয়েটা আমার। দিনান্তে বাড়ি ফিরে আমি কেবল জানতে চেয়েছি, ‘কেমন হয়েছে পরীক্ষা। ভদ্রলোকের এক কথার মত, রোজই "হুঁ, ভালো" বলেছে তুত্তুরী। সত্যিই ভালো বলে বিশ্বাস করিনি যদিও। তুত্তুরী নিজেও করেনি। সন্দেহ প্রকাশ করলেই বলত," রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্টো হ্যায় না মমি। তুম চিন্তা মাৎ করো। পাশ করা দেগা।"  রেজাল্ট বেরানের দুদিন আগে বর যখন বলল, ‘ওটা সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য রে মর্কট। এখানে ফেল মানে ফেলই।’ আমাদের মা মেয়ের হৃৎকম্প হয়েছিল। কি হবে, আমার মেয়েটা নতুন ক্লাশে আদৌ উঠবে তো?


 আজ যখন সোচ্ছারে বলছিল তুত্তুরী,‘আমি পাশ করে গেছি মমি। তোমার সাবজেক্ট গুলোতে সব এ আর এ প্লাস পেয়েছি। কেবল বাবার ইংরেজি সাহিত্যটা ভালো হয়নি। বি পেয়েছি। আর ড্রয়িংয়ে বি পেয়েছি।’ সেটাই স্বাভাবিক। চাকরগিরি করার চক্করে, নিজের সাবজেক্ট হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজি সাহিত্য ছিটেফোঁটাও দেখেনি তুত্তুরীর বাপ। আর আমার আর শৌভিকের কন্যা আঁকায় ডি পেলেই ধন্য হয়ে যাই আমরা। সেখানে বি তো লটারি পাওয়ার সামিল। বিরাট কোন প্রত্যাশা তো নেই জীবনের কাছে, এমনি করেই যাক না দিনগুলো। এমনিই থাকুক আমার তুত্তুরী মাটির কাছাকাছি। বাকি হিসেব সময় হলে ঠিক মিলেই যাবে।

No comments:

Post a Comment