Monday 30 March 2015

Say No to Body Shaming

Do you know what "Body Shaming" is? Nothing but being extra judgemental about yourself. We spend all our life try to make every one happy but take ourselves for granted. Please don't. You are too fat? So? Lady you are gorgeous. No assets? Lady you are gorgeous too. You love to wear make up? Do it, if that makes you happy. You hate make up? Please don't. You don't have much hair left? Lady you are as feminine as any other girl. You want to hide your greys? Want to put on red lippie? Do it. Do not pay attention to negative people or gossip.
you are one of a kind. All you need is bit selflove. Love thyself. Pamper yourself. Trust me you have the time. Indulge yourself, you badly need it. Tomorrow is the new beginning.
 http://cdn2.blisstree.com/wp-content/uploads/2013/07/original.jpgImage Courtesy -Google

Tuesday 24 March 2015

মেয়েটা ভাল



‘ছেড়ে দিন। ডিভোর্স দিয়ে দিন। ও আর ফিরে আসবে না । আর এলেও এ সম্পর্ক কোনদিন ঠিক হবে বলে আপনার মনে হয়? ক্ষত থেকেই যাবে।’ আমার উগ্র ফেমিনিস্ট কান বিশ্বাস করতে পারছিল না, আমি? যে কিনা কথায় কথায় ‘ইউনিভার্সাল সিস্টারহুডে’র দোহাই দি, আমি এ মন্তব্য করছি, তাও এক জন মহিলার সম্বন্ধে?
          শ্রোতা হলেন সুব্রত বাবু। স্থান ভাষা ভবন, জাতীয় গ্রন্থাগার। ফেব্রুয়ারীর কলকাতা। ঝকঝকে নীল আকাশ, মিঠে রোদ, ফুরফুরে হাওয়া। সামাজিক সুরক্ষা মাস অর্থাৎ জানুয়ারী সবে শেষ হয়েছে। আমরা কে কেমন কাজ করেছি তারই পর্যালোচনা করার জন্য মাননীয় শ্রম মন্ত্রী দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত শ্রম কমিশনার এবং ইন্সপেক্টরদের মিটিং এ ডেকেছেন।
          সেখানেই বহুদিন বাদে সুব্রত বাবুর সঙ্গে দেখা। উনি এক কালে আমার ইন্সপেক্টর ছিলেন। বেশ কিছু বছর আগের কথা। তখনও পরিবর্তনের হাওয়া ওঠেনি। সিঙ্গুর- নন্দীগ্রাম তখনও নেহাতই শান্ত জনপদ। পশ্চিম বঙ্গের রঙ্গমঞ্চে তখনও কিষানজীর আবির্ভাব হয়নি। লেবার সার্ভিসে যোগ দেবার সাথে সাথেই পাঠিয়ে দিল পশ্চিম বঙ্গের সীমান্তে এক ছোট্ট মহকুমার এ.এল.সি করে।
          রাঢ় বাংলা। লাল মাটির রুক্ষ দেশসহজ সরল মানুষ জন। অফিসে যোগ দেওয়া মাত্রই পরপর দুজন ইন্সপেক্টর অবসর নিলেন, যেন আমারই প্রতীক্ষায় ছিলেন। রয়ে গেলাম আমি, এক মহা ধুরন্ধর চোর আর্দালি আর এক আধপাগল নৈশ প্রহরী। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কিছু দিন চলল। বেদম হবার আগেই  এক জন অবসর প্রাপ্ত করণিককে পেয়ে গেলাম। নামমাত্র মজুরীর বিনিময়ে সমর বাবু এসে হাল ধরলেন আমার অফিসের। এই স্থূলকায় বিরল কেশ ভদ্রলোকটিকে আমি আদর করে ডাকতাম বড়বাবু বলে।
          এমতবস্থায় একদিন কলকাতা থেকে বড় সাহেব ফোন করে সুখবর দিলেন, শক্ত-পোক্ত এক যুবক ইন্সপেক্টর  পাঠানো হচ্ছে, যাকে দেখলেই মনে হয় প্রচুর খাটতে পারে। পক্ষ কালের মধ্যেই সুব্রত বাবু এসে যোগ দিলেন। ভুমি পুত্র, জেলা সদরে বাড়ি। বেশ কালো, লম্বা, বৃষস্কন্দ, পেটানো চেহারা। ফুল হাতা শার্ট গুটিয়ে হাফ করে পরেন। দীর্ঘ দিন কোন দপ্তরে করণিক ছিলেন। যুবক নন, বয়স ৩৭ এবং অবিবাহিত।অ্যাডিশনাল কমিশনার সাহেব খুব ভুল কিছু বলেননি। প্রবল কর্মক্ষম বলেই আপাত দৃষ্টিতে মনে হল।
সুব্রত বাবুকে নিয়ে প্রথম দিকে খুব সমস্যা হয়। তরুণী মহিলা অফিসারকে উনি আদপে পাত্তা দিতে চাইতেন না। সমর বাবু এবং আধপাগল নৈশপ্রহরীর সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করতেন। অতি দুর্মুখ, ঘোরতর কর্মবিমুখ এবং অসৎ ওনার সখা ছিল আমার চোর আর্দালি। প্রায় দিনই দুজনকে অফিসে পাওয়া যেত না। শক্ত হাতে হাল ধরলাম। আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বেশ কিছুদিন গরম হাওয়া বইবার পর, আস্তে আস্তে উত্তাপ কমে এল। কিছু দিন বাদে সব ধামাচাপা পড়ে গেল। যদিও তিক্ততার রেশ টুকু এবং মনের কোনে অবিশ্বাস রয়েই গেল।
আবহাওয়া স্থিতিশীল হতেই বুড়ো সমর বাবু ঘটকগিরিতে নামলেন। আমি হাত জোড় করে অব্যাহতি চাইলাম। সৌর তখন প্রোবেশনে উত্তরবঙ্গে আছে। শীঘ্রই বিয়ে করতে হবে না হলে এক জেলায় দুজনের পোস্টিং অসম্ভব। অতএব আমি বাদ। বাকি রইলেন সুব্রত বাবু। উনি লজ্জায় বেগুনী হয়ে সম্মতি সূচক মাথা নাড়লেন। দুজনে কোমর বেঁধে পাত্রী দেখতে লাগলেন। আমার অফিস প্রায় লাটে  ওঠে।
আরো তিনটে ঋতু কেটে গেল। আমার বিয়ে হয়ে গেল। কয়েক মাসের মধ্যেই সৌর বি.ডি.ও হয়ে এল আমার মহকুমায়। নতুন সংসার, পুরানো অফিস। মসৃণ গতিতে এগিয়ে চলতে লাগলো আমাদের জীবন। কত শত নতুন অভিগতা, নতুন অনুভব। পাল্লা দিয়ে চলতে লাগলো পাত্রী খোঁজা। মাঝে মাঝে আওয়াজ দিতাম, কুমারটুলি তে বায়না দিতে যেতে হবে। মাতৃত্ব কালীন ছুটিতে যাবার মাস খানেক আগে সুব্রত বাবু এসে কার্ডটা দিলেন। স্থানীয় মেয়ে। বয়স ত্রিশ। বাবা সদরের নাম করা হোমিওপ্যাথ ডাক্তার। মেয়েও পাশ দিয়েছে তবে প্রাকটিস করে না।
দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে ফিরে এলাম। অফিসের অবস্থা যতটা ভয়াবহ হবে ভেবেছিলাম, দেখলাম তা নয়। সুব্রত বাবু বেশ খোশ মেজাজে আছেন। জিজ্ঞাসা করলাম, “কি সব ঠিক আছে তো?” উনি লাজুক হেসে বললেন, “ হ্যাঁ ম্যাডাম। আপনার আশীর্বাদে। তবে বাবা মা এর একমাত্র মেয়ে, কোনো কাজ শেখেনি। আমার বাবা আবার বাইরের লোকের হাতে খান না। মা ও খুব শুচিবায়ুগ্রস্ত , খিটখিটে প্রকৃ্তির, কাজের লোক টেকে না। ফলে মায়ের ওপর খুব চাপ পড়ে যাচ্ছে। ওকে কোনো কাজ করতে বললে ও করে বটে, তবে পুঙ্খনাপুঙ্খ লাগায় নিজের বাবা-মাকে। আর ওনারা এসে অশান্তি করেন। তবে বিশ্বাস করুন ম্যাডাম মেয়েটা খুব ভাল ”
সময়ের সাথে সাথে সুব্রত বাবুর বাড়ির অশান্তি বেড়েই চলল এবং তা আর বাড়ির চার দেওয়াল এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রইল না। রেগে গিয়ে একবার উনি নিজের স্ত্রীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন, যাতে শ্বাশুড়ি কুমন্ত্রণা দিতে না পারেন। ফলশ্রুতি ওনার শ্বশুরমশাই থানায় যেতে উদ্যত হন এবং আমাকে ফোন করে ওনাকে শায়েস্তা করার অনুরোধ করেন। সে যাত্রা কোনোমতে ওনাকে নিরস্ত করে সুব্রত বাবু কে হাফ ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠাই ফোন ফেরৎ দিতে। সমস্যা চরমে ওঠে যখন ডাক্তার জানান যে টেস্ট টিউব বেবি ছাড়া ওনাদের বংশ বৃদ্ধি সম্ভব নয় এবং খরচা সাকুল্যে চার লাখ। পি এফ থেকে দুলাখ লোনের জন্য আবেদন করে, বাকিটা সুব্রত বাবু ওনার স্ত্রীর গয়না বিক্রি এবং শ্বশুরের কাছে কর্জ করবেন বলে মনস্থ করেন।
আজো মনে আছে, সে দিনটা ছিল সুক্রবার।সুব্রত বাবুর স্ত্রী সকাল বেলা শ্বশুর- শ্বাশুড়িকে প্রণাম করে বরের সাথে বাপের বাড়ি গেলেন, বলে গেলেন,“রবিবার রাতে নিতে আসতে ভুলো না।”তারপর থেকে ওনাদের বার কয়েক দেখা হয়েছে মাত্র, শুধু আদালতে। শ্বশুর বাড়ি গেলে ওনাকে কুৎসিত ভাষায় অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বউ ফোন ধরে না। পরবর্তী কালে নম্বরও বদলে গেছে। কোন মধ্যস্ততাকারীকে ওনারা বাড়িতে ঢুকতে দেননি। সমর বাবু আর আমার দৃঢ় ধারণা ছিল কোন তৃতীয় ব্যক্তি আছে। কোন তৃতীয় কোণ। কিন্তু সুব্রত বাবু তা নস্যাৎ করে বারবার বলতে থাকেন, “না ম্যাডাম, মেয়েটা ভাল।”
ওনাকে মাঝপথে ছেড়ে আমি বদলী হয়ে আসি মহানগরে। তারপর তিন বছর কেটে গেছে। সমর বাবু ও রণে ভঙ্গ দিয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। কেস আজো চলছে, এবং সুব্রত বাবু আমাকে আজো বললেন, “ ডিভোর্স দিয়ে দিলে আমি কি নিয়ে থাকব? আমার তো আর কিছু হবার বয়স নেই ম্যাডাম। আর বিশ্বাস করুন মেয়েটা খুব ভাল”।
 
image courtesy-Google

Friday 13 March 2015

এমনও বসন্ত দিনে......



মার্চ মাস। সবে দোল গেল। ভাল করে খুঁজলে এখনও কিছু বিচ্চু ছেলের গায়ে দোলের আবছা রঙ পাওয়া যাবে। রাস্তার ধারে ধারে পলাশ, কৃষ্ণ আর রাধাচূড়া সোচ্চারে ঘোষণা করছে এটা মধু মাস। বসন্ত এসেছে।
          চয়ন অর্থাৎ চয়নিকা আজ বেশ তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেড়িয়েছে। সেক্টর ফাইভের নামজাদা বেসরকারি দপ্তর। সন্ধ্যা ৬ টা না বাজলে কেউ ছাড় পায় না। আর চয়নের মত সিনিয়র হলে তো রাত ৭.৩০ এর আগে অফিস ছাড়া অসম্ভব। প্রচণ্ড কাজের চাপ।আজ বিশ্রী রকম ঝগড়া করতে হল। কিছু করার নেই। দোলার জরুরী তলব। কোন কথা শুনতে চাইল না। দোলা অর্থাৎ দোলনচাঁপা অপেক্ষা করছে কলেজ স্ট্রীট কফি হাউসে। কি প্রয়োজন কে জানে? তবে চয়নকে আসতেই হবে।
          দৌড়তে দৌড়তে ৪টের সময় গিয়ে পৌছল চয়ন। বব কাট চুল, জিন্স, পাজ্ঞাবি আর ঢোলা শান্তিনিকেতনী ব্যাগে পাক্কা আতেল। গলায় সবসময় ক্যামেরা ঝোলে। দোলার নির্দেশ মত তিন তলায় উঠে দেখতে পেল ভ্রু কুঁচকে বসে আছে দোলা। ওরা একই  স্কুলে পড়ত। ভ্রু যুগল সোজা রাখলে দোলা রীতিমত সুন্দরী। প্রতিমার মতো মুখ। কাঁচা হলুদের মত গায়ের রঙ। ভারি চেয়ারা। লম্বা চুল। হাল্কা রঙের শাড়ি বা সালয়ার ছাড়া কিছু পড়ে না। চূড়ান্ত রক্ষণশীল এবং বদমেজাজি। নামি বাংলা কাগজের সাব-এডিটর। কিছু কবিতার বই ও বেড়িয়েছে। ওরা দুজনেই মধ্য ত্রিশ। অবিবাহিতা।
          চয়নের বিয়ের কথা কেউ ভাবে না। ওকে মেয়ে বলেই কেউ গণ্য করে না। চিরকালের ডানপিটে, পাড়ায় প্রচণ্ড জনপ্রিয় চয়ন। সবার বিপদে আপদে সব সময় হাজির। ওর এই ছেলেদের মত পোশাক আর হাবভাবের জন্য স্কুলে ওর নামে নানা রকম গুজব ছড়াত। সে সবে কান দেবার বান্দা চয়ন নয়। স্কুলে ওর প্রিয় বান্ধবী ছিল তিস্তা। হরিহর আত্মা যাকে বলে। মেয়েরা  ঠারেঠোরে দুজনকেই খোঁচা দিত। গুজবটা জমে ক্ষীর হবার আগেই জানা গেল যে, তিস্তার এক জন প্রেমিক আছে এবং চয়ন ওদের দূতী। স্কুল শেষ হতে না হতেই তিস্তা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে বসলো সেই বাচ্চা প্রেমিক নয় বরং এক মধ্য বয়সী পুলিশ কনস্টেবলকে। চয়ন প্রতিজ্ঞা করলো আর তিস্তার মুখ দেখবে না। কিন্তু থাক সে এক অন্য গল্প।    
          মাঝখান থেকে চয়নের নামে গল্প গুলো বন্ধ হয়ে গেল। দোলা চিরদিনই ওর বন্ধু ছিল কিন্তু এই সময় ওদের সম্পর্ক আরও ঘণ হয়। স্কুলের শেষে শুরু হল জীবন সংগ্রাম।বাকি বন্ধুরা কে কোথায় ছিটকে গেল, কিন্তু ওদের বন্ধুত্ব আজো অটুট। তিস্তা ফিরে আসে এবং আজো ঘোরতর ভাবে উপস্থিত, কিন্তু চয়ন আর দোলার মাঝে ঢুকতে পারেনি।  অবশ্য নিন্দুকে বলে চয়ন হল দোলার তল্পিবাহক বা বাহিকা। দোলার জন্য পরীক্ষার আগে বন্ধুদের বাড়ি গিয়ে নোট নিয়ে আসা,  চিকেন পক্সের দাগ তোলার জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধ আনা, দোলার সব কবিতা শুনে মতামত দেওয়া (যদিও সবাই জানে চয়ন কবি দেখলেই ভয় পায়), দোলার প্রিয় লেখকের বই পড়ে সুচিন্তিত মতামত দেওয়া (যদিও সবাই জানে চয়ন বই দেখলেই আতঙ্কে ভোগে), দোলার সাথে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়ে ফরাসী ফিল্ম দেখা ( সেবার চয়ন ঘুমিয়ে পড়েছিল) সবেতেই চয়ন।
চয়নের হবি ছবি তোলা। সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে যে চয়নের মত দোলার ছবি কেউ তুলতে পারে না। চয়নের ফেসবুক,ইন্সটাগ্রাম ভর্তি দোলনচাঁপার সুগন্ধে। দোলার তা ঘোরতর নাপসন্দ। দোলা এক রহস্য যা চয়ন আনেক চেষ্টা করে ও সমাধান করতে পারে না। দোলা এই খুশি, ঝলমলে রোদ- ঝকঝকে নীল আকাশ, আবার পরক্ষণেই মুখ ভার- বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারি বৃষ্টিপাত। কড়া কড়া কথা, দাঁতখিঁচুনি, চোখের জল ।  মাঝে মাঝে দোলার ব্যবহার এত খারাপ হয় যে ওদের বন্ধুরা বলে, “ তুই কি ওর পাঞ্চিং ব্যাগ? ’’ চয়ন সাধারণত রাগে না। তবে রেগে গেলে গলতে চায় না। তখন দোলা শুরু করে তার বস্তাপচা প্যানপ্যানে আবেগের সুড়সুড়ি সাথে চোখের জল।। মাঝে মাঝে আত্মহত্যার হুমকিও দেয়। তখন চয়ন রেগে গিয়ে বলে, “ বিয়ে কর, করে বরকে জ্বালা। আমি আর নিতে পারছি না।” মাঝে মাঝে দোলার বাবা মা কেও বলতে ছাড়ে না,” কি করছ তোমরা? মেয়েটা বসে বসে বুড়ো হচ্ছে। বিয়ে দেবে না নাকি?’ অবশ্য এ গুরুদায়িত্ব চয়ন  স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। ওর সব বন্ধু, পরিচিতকে লাগিয়েছে দোলার জন্য সুপাত্র খুঁজতে। মধ্য তিরিশের উচ্চ শিক্ষিতা বাঙালী মেয়ের সুপাত্র পাওয়া দুষ্কর। তাও পাওয়া যায়। কিন্তু দোলার কাউকে পছন্দ হয় না। কি উন্নাসিক বাবা রে? এই নিয়েও ওদের বহু ঝগড়া হয়েছে। কি যে চায় দোলাটা??
তিন তলায় নির্দিষ্ট টেবিলে অপেক্ষা করছে দোলা। প্রায় বিবর্ণ একটা সুতির সালোয়ার পরেছে। লম্বা চুল বেণী বাঁধা। চয়ন টেবিলে ব্যাগ রেখেই পটাপট ওর ছহবি তুলতে তুলতে বলল, “বল? এত জরুরী তলব? বললাম অফিস ফেরত তোর বাড়ি হয়ে আসবো, তাও পছন্দ হল না।শালা তোর জন্য ঝগড়া করতে হল অফিসে।”
দোলা অন্যমনস্ক কি? বোঝা গেল না। এত জটিল ও। পরতে পরতে রহস্য। মৃদু হেঁসে বলল, “এই শেষ।”
চয়ন ওর সামনে মুখ খারাপ করে না। তাই সামলে নিয়ে কৌতুকের সাথে বলল, “মানে? হরিদ্বার যাচ্ছিস নাকি মামা?” দোলা চোখ পাকালো। চয়ন হাসতে হাসতে ক্যামেরাটা ব্যাগে ঢোকাতে ঢোকাতে বলল, “নাকি বিয়ে করছিস?”
দোলা নিরুত্তর। চয়ন চমকে উঠলো। তাকালো দোলার দিকে। এক, দুই, তিন... কোনো কথা নেই। দোলা চোখ সরালো জানলার দিকে। ফাল্গুনের পড়ন্ত রোদ, গলা সোনার মত ছড়িয়ে আছে মাটিতে।
উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লো চয়ন, “শালা...এই আমি তোমার বেষ্ট ফ্রেন্ড? চুপচাপ গুপগাপ ??? এই জন্যই এত ডাকাডাকি? মিষ্টি খাওয়া। না দাড়া। ট্রিঙ্কাসে ট্রীট চাই।”
দোলা তাকালো ওর দিকে। চয়ন উত্তেজনায় ফুটছে। ওর আঙ্গুল গুলো নেচেই  যাচ্ছে টেবিলের ওপর । সব জানতে চায়। কে? কি করে? কবে থেকে? কত দূর গড়িয়েছে?
দোলা অদ্ভুত থেমে থেমে উত্তর দিচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন সুষুপ্তি আর জাগরণের মধ্যে আছে। “সুকান্ত। তোদের পাড়ায় থাকে।” আমি চাইনি। জানি না কেন?” দোলার কথা শেষ হবার আগেই চয়ন বলে উঠল, “ছাড় না মামু। এই ভাল” দীর্ঘশ্বাস চাপল কি কেউ? দু জোড়া কানই কি খাড়া হল? “সুকান্তদা কে চিনি। মাটির মানুষ। তোর কথায় কান ধরে ওঠবস করবে। আর” একটু থামল চয়ন “এবার আমার ছুটি।”
গলার স্বর কি পাল্টালো? তন্নতন্ন করে কি খুঁজছে ওরা একে অপরের অভিব্যক্তির গুলোতে? নাকি সবি মনের ভুল?
 

RIP Kolkatar Nirbhaya

 Suzette Jordan is no more. She died this morning. Do you know her? Ring any bell? Remember the infamous "Park Street Rape" incident in Kolkata few years back? Yep she was the one, the Park Street Rape Victim. A divorcee rebellious woman, used to live with her mother and a daughter. She was gang raped by two spoiled rich brat, who are still absconding by the way. Kolkata's very own Nirbhaya... but she was in news for all the wrong reasons. She was portrayed as a slut and the gruesome rape was termed as a mere bargain issue between a hooker and her customer. She had enough... the social, mental, physical trauma, torture, humiliation was unspeakable. She was even pushed away from a restaurant allegedly for being a rape victim. But Suzette was a wonder woman..A tigress in deed. She fought back fiercely.. She showed her face in the media and made this famous statement,
."My name is Suzette Jordan and I don't want to be known any longer as the victim of Calcutta's Park Street rape." Its a sheer tragedy that she had to leave the battle ground so soon. RIP Suzette Jordan. RIP Kolkatar Nirbhaya