অনির ডাইরি ৪ঠা অক্টোবর, ২০২১
সময় রাত দশটা
কবে থেকে ঘন্টা গুনছি আমরা। আর মাত্র বাইশ ঘন্টা পর বাড়ি ফিরবে শৌভিক। ঘুম ভাঙা ভোরে, সোনালী রোদের চাদর মুড়ি দিয়ে মাংস কিনে এনেছি আমি, আজ রাতে তিনি টক দই আর বিরিয়ানি মশলা মেখে জারিত হোন হিম আলমারিতে, কাল সকালে আপিস যাবার আগে, সামান্য কষে বেরোব। একটু দেরীতে ঢুকব আপিসে, বড়দিকে বলেই রেখেছি, যেতামই না ব্যাটা, যদি না একখান বোনাসের ডিসপিউট টেবিল থেকে প্যাঁট প্যাঁট করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে না থাকত, আর কিছু বিল ছাড়ার জন্য কৌশিক আর শুভজিৎ ঝুলোঝুলি না করত।
গোটা পুজোটা অনেক আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছি আমরা। প্রতিপদের সকালেই শৌভিকের সাথে তমলুক রওণা দেব আমি। দ্বিতীয়াটা ওখান থেকেই যাতায়াত করে নেব, তৃতীয়া প্রভাতে এসে হাজির হবে একদল পরমপ্রিয় সুহৃদ। চতুর্থীর দুপুরে তাদের ট্রেনে তুলে দিয়ে,পঞ্চমীর সন্ধ্যায় মহকুমার শাসকের সাথে গুটি কয়েক পুজোর উদ্বোধনের সাক্ষী হতে যাব আমরা। বাবা পুজো উদ্বোধন করবে, জানার পর থেকে তুত্তুরীর পা আর মাটিতে পড়ছে কই? প্রথমে ঠিক ছিল সপ্তমীর সকালে হাওড়া ফিরব আমরা, উদ্দেশ্য অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়া। পরিকল্পনা সামান্য পাল্টে ষষ্ঠীতেই হাওড়া ফিরব আমরা মা আর মেয়ে। সৌজন্য আমার পিসির অন্তহীন বিলাপ, খুড়তুতো ভাইদের তথা ভাইবউয়ের অনুরোধ উপরোধ আর আমার স্কুলের বন্ধুদের নিরন্তর খিস্তিখেউড়। ‘কি রে শালা, পুজোয় একটা সন্ধ্যাও আমাদের সাথে কাটাবি না? এত বছর তো কাটালি বরের সাথে, এত আঠা কিসের?’
ষষ্ঠীর সন্ধ্যা হালদার পাড়ার পুজামণ্ডপে জমিয়ে আড্ডা,সপ্তমীতে পায়ে হেঁটে হাওড়ার ঠাকুর দেখা, সুকন্যা যদি তখনও কলকাতায় থাকে তাহলে উত্তর কলকাতাতেও ঘোরা যায়। উটোবাবুর অনেকদিনের শখ, অনি মাসি আর তু্ত্তুরীর সাথে ঠাকুর দেখবে-। ফেরার পথে অষ্টমীর আট ফল,ঠাকুরের শাড়ি, শিব ঠাকুরের ধুতি, সিঁদুর, আলতা, ধূপ, চন্দ্রপুলি ইত্যাদি কিনে আনা। অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি দিয়ে, লুচি আর ছোলার ডাল খেয়ে এসডিও সাহেবের গাড়িতে চেপে আবার তমলুক ফিরে যাওয়া। নবমীর সকালে আসবে পিসিমণি আর পিসেমশাই, যতই কুমড়োর ঘ্যাঁট আর উচ্ছেচচ্চড়ি খাওয়া ভেতো বাঙালী হোক, শিরায় তো বইছে রাজপুত খুন। তার জন্য তেহরী রান্না শিখলাম আমি, প্রভাতীর থেকে রসুনের আর আমের আচার কিনলাম আমি। আহাঃ ছাতুর পরোটা আর আচার না খাইয়ে ছাড়ব নাকি? ফোনে সেটা শুনিয়েও দিয়েছি পিসশ্বশুরকে। তিনি যদিও প্রবল আপত্তি জানিয়ে রেখেছেন, ‘ওরে আমি আচার খাই না রে-’। ওসব বললে হবে? ভট্টাচার্য বাড়ির সোনার টুকরো জামাতা, তার খাতির না করলে পোষায়?
দশমীতে ওণারা ফিরে যাবেন, দ্বাদশীর দিন বেরিয়ে ছোট্ট করে কোথাও ঘুরে আসব আমরা। জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে বুকিংও করে ফেলেছে শৌভিক।লক্ষ্মীপুজোর পরদিন আবার ফিরে আসব তাম্রলিপ্ত।
বাড়ি ফেরার বাইশ ঘন্টা আগে দাম্পত্যালাপের ফাঁকে, গোটা পুজোপরিকল্পনা আওড়াতে আওড়াতে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম দোঁহে। কি ব্যস্ততায় কাটবে রে ভাই আমাদের পুজোটা। অবকাশের কোন গল্পই নেই, এই পুজোয়। ফোন রেখে, বিছানার ওপর পাতা ভারি বেড কভারটা তুলতে তুলতে তুত্তুরীকে শুধাই, দাদু-মামমাম(দিদা)র সাথে কথা হয়েছে কি না? আপন খেয়ালে বকবক করতে করতে অপ্রস্তুত হয়ে জবাব দেয় তুত্তুরী, আজ সারাদিনে একটি বারও ফোন করার সময় পাননি নাকি তিনি। এরপরের ঝাড়টা না হয় উহ্যই থাকুক সোশ্যাল মিডিয়ায়। অত্যন্ত পরিশীলিত ভাষায় বললে বলতে হয়, সেন্টুর নদী বয়ে গেল আমাদের তিন কামরার ফ্ল্যাটে। কি সাংঘাতিক আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছিস তুই তু্ত্তুরী, যে মানুষ দুটো বুকে করে মানুষ করল,তাদের জন্য সারাদিনে মাত্র দশটা মিনিট দিতে পারো না তুমি?কাল যদি না থাকেন তাঁরা, কি বলবে নিজেকে তুত্তুরী-।
প্রবল ঝাড়ের মুখে উড়ে যাওয়া খড়কুটোর মত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দাদুকে ফোন করল তুত্তুরী, ‘হ্যালো দাদু, সরি আজ ফোন করিনি। মা খুব বকছে। তুমি যেন দুঃখ পেও না--’। অন্যদিন এই ইমোশনাল ন্যাকামো আরো অনেকক্ষণ চলে, ফোনের ওপার থেকে সেন্টুর নদী বইয়ে দেয় দাদুও। কিন্তু আজ যেন কোথাও তাল কেটে গেল দাদু আর তার সোনার তুত্তুরীর আবেগপূর্ণ সংলাপের। পাশের ঘরে গিয়েছিলাম কি যেন আনতে, ছুটতে ছুটতে ফোনটা এনে আমার হাতে ধরিয়ে দিল তুত্তুরী। ‘মা দাদু আর কথা বলতে চাইছে না। বলছে দাদুর খুব শরীর খারাপ।’
মায়ের শরীর তথা মন বিগড়ানো আমার নৈমিত্তিক সমস্যা। কিন্তু বাবার তো কিছু হয় না সাধারণত। কি আবার হল? শুনলাম পেট ব্যথা। রীতিমত বেদনায় চিঁচিঁ করছে বাবা। জানাল কাজের মাসিকে দিয়ে ডিকোলিক আনিয়ে খেয়েছে বাবা। তাতেও কমেনি। বসার ঘর থেকে ভেসে আসছে দুই খুড়তুতো ভাই, ভাই বউ, ভাইপো, পিসির উত্তেজিত সংলাপ। চলছে পেটে তেল জল দেবার পর্ব। বড়ভাই শ্রীমান অয়ন ফোনটা কেড়ে নিয়ে জানাল, আরো দুটো ওষুধ খাওয়ানো হবে বাবাকে। তারপর দরকার হলে কাল কাউকে ডেকে হবে অ্যানিমা দেওয়া। ‘আরেঃ তুই চিন্তা করিস না। বড়দাদার মাঝে মাঝে হত না,কোষ্ঠকাঠিন্য। তেমনি হয়েছে মনে হয়। পেটটা ফুলেও আছে। কালকের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। ’বড়দাদা অর্থাৎ স্বর্গীয় বড়জেঠু আর তাঁর কোষ্ঠ সাফ না হওয়া নিয়ে বানানো যায় পিকুর মত গুটি পাঁচেক সিনেমা। শেষের দিকে জেঠু আর জ্যাঠাইমার দাম্পত্যালাপের অধিকাংশ জুড়েই থাকত জেঠুর কোষ্ঠ সাফ হওয়া আর না হওয়া। মনে মনে ভাবলাম তাই যেন হয় বাবা।সামনেই পুজো, পুজোটা যেন সবার ভালো কাটে। আমার সমস্ত আপনজন, তাদের সমস্ত প্রিয়জন সব্বাই যেন ভালো থাকে। কতদিন পর পিত্রালয়ে ফিরবে উমা, আনন্দে ভরে উঠুক ভুবন।
অনির ডাইরি ৫ই অক্টোবর,২০২১
সকাল ৭টা
আগামী কাল মহালয়া। গৃহকর্তার সাথে দেখা হতে আর বড় জোর ঘন্টা বিশেক। যদিও তিনি বারংবার বলছেন, যে এক মাস পর বাড়ি ফিরবেন, তাই মাননীয় জেলাশাসককে বলে বেলা তিনটের মধ্যেই বেরিয়ে পড়বেন আপিস থেকে। ওসব কথায় বিশ্বাস করি না আমি। সাড়ে পাঁচটা-ছটার আগে মোটেই পার করবে না আপিসের চৌকাঠ। পারবেই না।
ভোরের যাবতীয় আমেজকে পলকে চটকে, ঝনঝনিয়ে বেজে উঠল মুঠো ফোনে। ফোনের ওপারে মায়ের আদ্র দুঃশ্চিন্তা মাখা কণ্ঠস্বর, বাবা ভালো নেই। সারারাত ছটফট করেছে বেদনায়, ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই তপনকে ফোন করেছে মা। । তপনের সাথে আমার মা-বাবার সম্পর্ক বরাবরই সুমিষ্ট, কারণ প্রায় দেড় দশক ধরে বাবামায়ের সুগার চেক করে আসছে তপন। প্রথম এসেছিল এক ফচকে ছোকরা, গলির মুখের ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে ব্লাডের স্যাম্পল কালেক্ট করতে- দুচারটে সুখদুখের কথা, সামান্য সহমর্মিতা কবে যে তাকে ঘরের ছেলে বানিয়ে দিয়েছে আমরা জানি না। বর্তমানে স্যাম্পল কালেকশনের কাজ আর করে না তপন, তবে জড়িত আছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। মধ্য হাওড়ার যাবতীয় নামী এবং দামী চিকিৎসকের সঙ্গে অসম্ভব সুসম্পর্ক তপনের- বাবা-মায়ের যাবতীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা, এমনকি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা যাতে নিরাপদে ডাক্তারখানা ঘুরে আবার বাড়ি ফিরে আসতে পারে তার জন্য বাড়ির দরজায় টোটোও পাঠিয়ে দেয় তপন।
মা জানাল, তপন আশ্বস্ত করেছে মাকে, এখুনি একজন নার্স পাঠাচ্ছে যিনি অ্যানিমা দিতে পারেন। কোষ্ঠ সাফ হয়ে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবুও শান্ত হয়নি মায়ের মন, বাবার তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও ফোন করে বসেছে আমায়। বাবার এই আপত্তির কারণ একটাই, শুনলেই ছুটে যাব আমি, কেন শুধু শুধু আমাকে বিব্রত করা। তারওপর আজ শৌভিক আসবে এক মাস পর- এমন দিনে আমায় বিব্রত করার থেকে খানিক যাতনা সয়ে নিতেও প্রস্তুত আমার বাবা।
সকাল নটা নাগাদ ওলায় উঠে যখন আমি ফোন করলাম মাকে, তখনও ছটফটাচ্ছে বাবা। মায়ের হাত থেকে ফোন কেড়ে নার্স দিদি জানালেন, অ্যানিমা দিয়ে কোন লাভ হয়নি। কোষ্ঠ সাফই ছিল। উনি চিন্তিত স্বরে বললেন, ‘দেখুন দিদিভাই, ওণার ওপর পেটটা অসম্ভব ফুলে আছে।গা বমি ভাব। আমি আপনাদের বাড়ির ডাক্তারকে ফোন করে, ওণার অনুমতি নিয়ে ডিকলিক আর জোফার ইঞ্জেকশন দিয়েছি। এবার মনে হয় কমে যাবে।’ তাই যেন হয় ঠাকুর।
আপিস টাইমের কলকাতার জ্যাম কাটিয়ে, হাওড়া ময়দান থেকে গাড়ি যখন বাঁকল পঞ্চাননতলা রোডের দিকে, মুঠো ফোনে ফুটে উঠল বড়দার নম্বর। মায়েরা চার বোন, চার বোনের পাঁচ পুত্রকন্যা। চার দাদার একমাত্র আদরের বোন আমি, বয়স যতই গাছ আর পাথর বিস্তার করুক, দাদাদের কাছে আমি আজও সেদিনের ছোট্টই আছি। চার দাদার মধ্যে বড়দা আবার আমার শিক্ষাগুরুও বটে। সেই ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ অবধি দাদার কাছেই লেখাপড়া করেছি আমি। কি ভয় পেতাম ভদ্রলোককে। রেলে চাকরী করত বড়দা, এখনও করেন, আপিস ফেরৎ দাদার একটাই হবি ছিল আমাকে পড়াতে আসা। সোম বুধ শনি তিন দিন সন্ধ্যা ঘনালেই পড়াতে আসত দাদা,কখনও কখনও রবিও। ইংরেজি আর বাংলা (ওটা বাবার দপ্তর ছিল কি না) বাদে সব সাবজেক্ট পড়াত দাদা, কোনদিন তার জন্য দাদাকে দেওয়া হয়নি কোন পারিশ্রমিক, প্রথম দিকে তাও কিছু ভালোমন্দ টিফিন বানিয়ে বা কিনে আনত মা, বড়মাসি অর্থাৎ বড়দার মা জননীর ধমক খেয়ে তাও বন্ধ হয়ে যায় কিছুদিনের মধ্যে।
‘হুটপাট করে আসার দরকার নেই, আস্তেসুস্থে আয়, আমি পৌঁছে গেছি-’। তুমি পৌঁছালে কেন রে বাবা? সেই নব্বইয়ের দশক তো আর নেই, সেদিনের বেকার অবিবাহিত বড়দার বিয়ের পর কেটে গেছে দুই দশকেরও বেশী। ঘর আলো করে বেড়েছে আমার দুই ভাইপো ভাইঝি। চাকরীতে হয়েছে পদোন্নতি, ভয়ানক ব্যস্ত থাকে বড়দা আজকাল। খামোখা সেই মানুষটাকে কেন খবর দিয়েছে মা? একটু রেস্ট নেবার সময় পায় না যে লোকটা, তাকে মামুলী পেট ব্যথা আর কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কেউ খবর দেয়? আমি তো আসছি নাকি?
বাড়ি গিয়ে মাকে ধমকে, বড়দার কাছে প্রবল কানমোলা খেলাম এই ধেড়ে বয়সে। দাদা বোনের খুনসুটি তো চলতেই পারত আরো খানিকক্ষণ, কিন্তু বাবার অবস্থা মোটেই ভালো নয়। ছিঁটেফোঁটাও কমেনি পেট ব্যথা। সাথে প্রবল বমি ভাব। ডাক্তারকে ফোন করতে উনি নির্দেশ দিলেন, হাসপাতালে ভর্তি করার। ঠিক এই ভয়টাই পেতে পেতে আসছিলাম আমি গোটা রাস্তা। এই সদ্য জুলাই মাসে মাকে নিয়ে হাসপাতাল ঘর করতে করতে জেরবার হয়ে গিয়েছিলাম আমি, আবার সেই চক্করেই ফেললে প্রভু। আর কাল যে মহালয়া- । খুড়তুতো দুই ভাই দপ্তরী কাজে রাস্তায়, ওরাও কর্ম সূত্রে ওষুধ আর ডাক্তারদের সাথেই যুক্ত। বড়কে ফোন করলাম, যদি অন্য কোন ডাক্তার দেখানো যায়, যদি তিনি একটি বার এসে, রুগীর নাড়ি দেখে দিতে পারেন কোন বিশল্যকরণীর হদিস। পথের মাঝে বাইক থামিয়ে ভাই বলল, 'সময় নষ্ট করিস না। হাসপাতালে নিয়ে যা।'
বাড়ির কাছের নার্সিং হোমেই বাবাকে নিয়ে গেলাম বড়দা আর আমি। রেসিডেন্ট ডাক্তার এসে দেখে গেলেন, কোভিড টেস্টের জন্য পাঠালাম আধারকার্ডের ডিটেইলস্। জানালাম ডবল ডোজ ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। বর্তমান প্রটোকল মেনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হল বাবাকে। এবার পালা সইসাবুদ- টাকা পয়সা জমা করার, সবসময় আমার ছায়াসঙ্গী আমার বড়দা। টাকা জমা করার ঠিক আগের মুহূর্তে ঘোষণা হল, ‘অলোক চ্যাটার্জীর বাড়ির লোক, এই মুহূর্তে আইসোলেশন ওয়ার্ডে আসুন। ’ একজনকেই যাবার অনুমতি দেবে এরা, ব্যাগপত্র দাদাকে ধরিয়ে, উঠে গেলাম আমি। আইসোলেশন ওয়ার্ডে শুয়ে আছে বাবা, নাকে রাইসটিউব পড়ানো, আমি ঢুকতেই আমাকে একজন বললেন, ‘দেখুন ওণার পেট থেকে কি বেরোচ্ছে-’। ঘণ কৃষ্ণ বর্ণ তরল, হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসছে নাকের নল দিয়ে। নলের অপর প্রান্ত ডোবানো অাছে, একটি দুলিটারের বোতলে, যার অর্ধেক ততোক্ষণে ভরে উঠেছে কালো তরলে-। কি এটা? রক্ত ? রেসিডেন্ট ডাক্তার গম্ভীর মুখে জানালেন, ‘হতেও পারে। ’
(চলবে)
No comments:
Post a Comment