Sunday 9 April 2023

অনির ডাইরি ৩০শে মার্চ, ২০২৩

 


#অনিরডাইরি #তাম্রলিপ্তকড়চা 

অর্থ বর্ষ প্রায় শেষ। "সেই ট্রাডিশন সমানে চলছে"র ধারাকে অব্যাহত রেখে, শেষ মুহূর্তে হুড়মুড়িয়ে ডুকছে অ্যালটমেন্ট। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এই অর্থবর্ষটা আমরা বুঝি ধারহীন ভাবেই শেষ করতে পারব।

নূতন করে ধার করার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছি। কম্পিউটার সারায় যে ছেলেটি, তাকে বলেই দিয়েছি, এপ্রিল পড়লেই আর একবার চেক করে নেবে আমাদের সব কম্পিউটার গুলো। অ্যান্টিভাইরাস গুলো, সময় শেষের রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। ওগুলোকেও একটু বদলে দাও। ইলেকট্রিকের কাজ করে যে ছেলেটি, তাকে বলা হয়েছে, একটু ফ্যানগুলো ছেড়ে দিয়ে যা বাবা।


এরই মধ্যে ঘোষিত হয়েছে দুয়ারে সরকার। বাতাসে ফিসফিসে খবর, উচ্চ মাধ্যমিক মিটলেই জেলা শহরে আসতে চলেছেন মাননীয়া। সদর দপ্তর থেকে নামানো হয়েছে বেশ কিছু নালিশের ডালি। জনে জনে ফোন করে শুধাতে হচ্ছে, " দাদা/দিদি বলুন কি আপনার অভিযোগ/অনুযোগ…"


অধিকাংশই  শ্রম দপ্তর সংক্রান্ত নয়। তাদেরকেও দিশাহীন ভাবে ছাড়া যাচ্ছে না। বলে দিতে হচ্ছে, একটু অমুক দপ্তরে কথা বলে দেখুন, কেমন। মাঝে মাঝে ঘটছে মজার মজার ঘটনা, যেমন জনৈক নালিশকারী ঘুরিয়ে আমাদের শান্তনুকে বলেছে, " আপনি কে? কোথা থেকে বলছেন আগে বলুন। অফিসের ঠিকানা দিন। আমি গিয়ে কথা বলব।" আজ্ঞে তাই সই, বলে পথনির্দেশ দেওয়া হল। ভদ্রলোক এসে পৌঁছালেন যখন, সূর্য ডুবু ডুবু। ধোপদুরস্ত পোষাক-পরিচ্ছদ, পেশায় জানালেন শিক্ষক। শ্রম দপ্তর কি, কি কাজ করে ইত্যাদি আলোচনা অন্তে, অফিস পর্যবেক্ষণ পূর্বক, জহর বাবুর হাতের এক কাপ অমৃত চা সেবন করিয়া, মহাশয় জানাইলেন, "আসলে আমার কোন নালিশ নাই বুঝলেন। দেখছিলাম সত্যি নালিশ করলে কেউ শোনে কিনা।"


এ তো তাও ভালো, শুভদীপ্তকে তো একজন বেদম বকুনি দিল, " আবাস যোজনায় বাড়ি দিলেনি, এখন আবার ফোন করে আদিখ্যেতা করতে এয়েছো?' আবাস যোজনার কয়েক সহস্র যোজনের মধ্যেও পড়ে না শ্রম দপ্তর। তবুও নালিশের উপর জ্বলজ্বল করছে আমাদের দপ্তরের নাম। শুভদীপ্ত খানিক দম নিয়ে আবার প্রশ্ন করল, "BMSSY এর বই আছে আপনার? ওই যে ২৫ টাকার বই গুলো-।" ঘুরিয়ে জবাব এল, ' আমার কি আছে, না আছে, তা তোমাকে বলতে যাব কেন? জানো আমার খুড়শ্বশুরের পিসতুতো ভাইপো কে, জানো আমার মামাদাদু কোথায় চাকরি করেন?' আর কথা বাড়ানো সমীচীন বোধ করেনি, শুভদীপ্ত। 


একই কথা নন্দন শুনল বটে, তবে এক্ষেত্রে বাড়ি নয় হাগুখানা। হক বাবুকে একজন তো রীতিমত চমকালো, " নির্বাচনটা আসতে দিন।" সুরজিৎকে আবার উল্টো কথা শোনালো আর একজন, " না না, সরকারের বিরুদ্ধে আমার কোন নালিশ নেই। খুব ভালো কাজ করছে আমাদের সরকার।"  বেদজ্যোতিকে একজন বলল, "প্যানকার্ড পাইনি"। যোশুয়াকে একজন বলল," বউ পালিয়ে গেছে মূল্যবান ডকুমেন্ট নিয়ে। কি করা যায় বলুন দিকি?" কোলাঘাটের শান্তনু আর তমলুকের বিল্বমঙ্গল কে কারা যেন দুপুরের ঘুম ভাঙ্গিয়েছে বলে উদোম খিস্তি মারল। মনীষকে কে যেন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব শোনালো, "আমি করিনি সার। মা কালীর দিব্যি। বুইলেন কিনা, আমার অনেক শত্তুর আছে, তারাই কেউ করছে নির্ঘাত। আপনি একবার বলুন সার, আমি নিজে গিয়ে সই করে দুব যে আমার কোন নালিশ নেই।


এছাড়াও নালিশ পাওয়া গেল, "রাস্তা চাই", ডিজিটাল রেশন কার্ড, জমি বিবাদ সংক্রান্ত, চাকরি চাইলেন কেউ কেউ, পাড়ায় কেউ বিরক্ত করছে বলে নালিশ করেছেন কয়েকজন, এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট ও চাইলো জনা কয়েক। কথা বলতে গিয়ে বোঝাই যায়, অধিকাংশই সাদাসিদা গাঁয়ের মানুষ।


একদল ফোন করছে, একদল এন্ট্রি করছে, এক নজরে মনে হবে এটা যেন সরকারি অফিস নয়, কোন কল সেন্টার বুঝি। আর এই সমস্ত নালিশ সংক্রান্ত কাজের তদারকি করছে, আমাদের পাঁশকুড়া পুরসভার ইন্সপেক্টর শ্রী সঞ্জয় কুমার টুডু। এখন কথা হল, এতগুলো ছেলে যে বিভিন্ন ব্লক পুরসভা থেকে এসে এই কাজ করছে তাদের চাট্টি মুড়ি জলের ব্যবস্থা তো করা উচিত। মানছি ধারেনগদে চলে আমাদের,  কিন্তু মার্চ মাস বলে কথা, সেই বিলগুলি তো মেটাতে হবে এবার। জল মুড়ির টাকা দিবে কি মহানগর? 


যাকে প্রশ্নটা করলাম, তিনি এমন হাসলেন, হাসতে হাসতে গড়িয়েই পড়লেন। শেষে অতি কষ্টে হাসি থামিয়ে, চোখ মুছে, নাক ঝেড়ে, গলা খাঁকরে বললেন, " চাও না, চাও। নজির সৃষ্টি করো।" ধারের জ্বালা এবং নজির সৃষ্টি করার সুপ্ত বাসনা নিয়ে ফোন করলাম মহানগর তুতো এক দাদাকে। যাকে ফোনালাম, তিনি ছদ্ম মাতব্ব্বরীর ঢঙ্গে বললেন, " টাকা চাই? বেশ তো। একদিনের উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম নামিয়ে ফেল, কিছু টাকা পাবি।"


ও হরি! ওই প্রোগ্রাম তো আমি  স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে নারী দিবসের পরের দিনই করে ফেলেছি। সেই যে তানিয়া দি এসে ক্লাস নিয়ে গেল, আবার কি করব? আর এই কর্মযজ্ঞে এই মুহূর্তে একটিও মেয়েকে জুড়িনি আমরা। এমনকি আমি নিজেও ফোন করিনি। একটাও না। চুঁচুড়ায় থাকতে একবার এই রকম ফোন করতে বাধ্য হয়েছিলাম, যা শিক্ষা হয়েছে, বাপরে! ফোনে অচেনা মেয়ের গলা শুনলেই, লোকজনের সব সমস্যা দূরীভূত হয়ে প্রবল প্রেমের উদ্রেক হয়। 


দাদা বললেন, "প্রোগ্রাম করেছিস, তাতে কি হয়েছে? আবার কর। তবে একটা কথা বলতো, তোকে এত দেরিতে টাকা দিলে তুই খরচা করতে পারবি তো? নাহলে কিন্তু মুখ পুড়বে।"  মুখে তো বললাম, হ্যাঁ হ্যাঁ তিরিশে দিলেও, একত্রিশে প্রোগ্রাম নামিয়ে দেব। কার্যক্ষেত্রে ব্যাপারটা অত সহজও ছিল না।


 প্রথমতঃ ডাকবো কাদের? আমাদের মেয়ে এসএলও এবং কালেক্টিং এজেন্টদের সাথে তো ইতিমধ্যেই করে নিয়েছি এই কর্মশালা। এমতবস্থায় চল্লিশ জন মহিলা পাই কোথায়? শুভাশিসই বুদ্ধি দিল, "ম্যাডাম বাথরুম সাফ করে যে দিদিগুলা, ওদের ডাকলে হয় না?" দারুণ প্রস্তাব, লুফে নিলাম এক কথায়। নেভি নীল পাড়ওয়ালা,সাদা সিনথেটিক শাড়ি পরিহিতা একদল অল্পবয়সী মেয়ে, ইদানিং কাজ করে এই কমপ্লেক্সে। ওরা ঝাঁট দেয়, বাথরুম সাফ করে। ওদের দয়াতেই নিশ্চিন্তে শৌচাগারে যেতে পারি আমরা। ওদের নিয়োগের পূর্বে শৌচাগার গুলির যে হাল ছিল, তা অকহতব্য। একবার গেলে দুঃস্বপ্ন আসতো অন্তত তিন দিন।


শুধু সুইপার দিদিদের দিয়ে হল ভরল না। পি ডব্লিউ ডির যে অধিকর্তা এই দিদিদের দেখভাল করেন, উনিই জোগাড় করে দিলেন অন্য একটি সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মেয়েদের। এরাও পাশেই কাজ করে। ইতিপূর্বে এমন কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেনি কেউই। তাই সকলের উৎসাহ ছিল দেখার মত।অংশগ্রহণকারী তো পেলাম, এবার এদের শেখাবে পড়াবে কে? সময় বড় স্বল্প। সাম্মানিক বড়ই কম। আবার তানি দিকে ডাকলে, নির্ঘাত কান মূলে দেবে। আমার মতোই ব্যস্ত সেও এই মুহূর্তে, হয়তো আমার থেকেও বেশি।


জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হল। অতিমারি পূর্ববর্তী সময়ে, হুগলীতে, এনাদের সাথে বেশ সুসম্পর্ক ছিল আমাদের। সমস্ত অনুষ্ঠানে আমরা ডাকতাম ওনাদের আর ওঁরা ডাকতেন আমাদের। আইন নিয়ে কাজ করার অবসর এবং পরিসর এই মুহূর্তে আমাদের ক্রম সংকুচিত হলেও, ওনারা পূর্ণ বিক্রমে বিদ্যমান। মাননীয় সচীব মহাশয় রাজি হয়ে গেলেন এক কথাতেই। জানালেন চারটি আইন নিয়ে কথা বলবেন। খুব সহজ সরল ভাষায়। আইন গুলি হল-  কন্যা ভ্রুণ হত্যা আইন ১৯৯৪, যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন ২০১২, কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ আইন ২০১৩ এবং গার্হস্থ হিংসা প্রতিরোধ আইন ২০০৫।


প্রথমার্ধ মিটলো, এবার দ্বিতীয়ার্ধের পালা।  দ্বিতীয়ার্ধে কাদের ডাকব, সেই নিয়ে ছিটেফোঁটাও সংশয় ছিল না আমার। শ্রীমতী অঞ্চিতা ঘটকের এনজিও পরিচিতির সাথে আমার আলাপ চন্দননগরের বড় সাহেবের সৌজন্যে। স্যারের উৎসাহে, গৃহ শ্রমিকদের নিয়ে একটা কর্মশালা করেছিলাম আমরা। সেখানেই অঞ্চিতা দি এবং পারমিতার সঙ্গে আলাপ। কথায় কথায় জানতে পারি, ওনারা জেন্ডার ইস্যু এবং জেন্ডার ভায়োলেন্স নিয়ে সিরিয়াস কাজকর্ম করেন। গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মহিলাদের পাশে দাঁড়ান। অঞ্চিতাদির ভাষায়,“ যতক্ষণ মেয়েটি লড়বে, আমরা লড়ব। ”


কথাটা যে কতখানি সত্যি, প্রমাণ পেয়েছিলাম, যখন আমার প্রাক্তণ ড্রাইভারের গর্ভবতী স্ত্রীকে আড়ং ধোলাই দিয়েছিল তার মা-মাসি আর মাসতুতো ভাই। মেরেধরে, মাথার চুল খানিক খামচে ছিঁড়ে দিয়েছিল। তখন লকডাউন। সারা রাত শোবার ঘরের দরজা বন্ধ করে অশ্রুপাত করেছিল যুগলে। সকালে আমায় নিতে এসে খুলে বলে ছেলেটি। থানায় পাঠাই। সে অভিজ্ঞতা আর লিখছি না। কাজ তো হয় অষ্টরম্ভা। উল্টে মেয়েটিকে দুপুর বেলা একলা কোয়ার্টারে ডেকে পাঠায় মেজবাবু। আবার ছুটে আসে স্বামী স্ত্রী আমার কাছে। অসহায় হয়ে পরিচিতির শরণাপন্ন হই আমি। 


লক ডাউনের মধ্যেই ছুটে আসে কাকলী আর শুভ্রা। আগে কথা বলে যুগলের সাথে। কাউন্সেলিং করা হয় দুজনের। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। চাপ দেওয়া হয় এদিক,ওদিক,সেদিক দিয়ে। শেষ পর্যন্ত কেস নিতে বাধ্য হয় পুলিশ। ধাতানি দেওয়া হয় শাশুড়ী মাতা ইত্যাদিকে। পরিচিতির সহায়তায় পরিস্থিতির উন্নতি হবার পর যেটা হয়, তা হল বিস্তর কুম্ভীরাশ্রু সহ একরাশ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে, ছেলেটি আমার গাড়ি ছেড়ে অন্য অফিসারের গাড়ি ধরে নেয়। যেখানে গাড়ির টাকা আমাদের মত গোনাগুনতি নয়। মালিকের ভাষায়, তেল চুরির সুযোগ ও অঢেল। যাই হোক, সে অন্য গল্প। মেয়েটি যে সমস্যা মুক্ত হয়, সেটাই আসল। 


দ্বিতীয়ার্ধের জন্য তাই পারমিতার মাধ্যমে পরিচিতিকেই ধরলাম। সুদূর দক্ষিণ কলকাতা থেকে তমলুক এসে দুর্ধর্ষ সেশন নিয়ে গেল কাকলী আর শুভ্রা। দারুণ উপভোগ করল আমাদের মেয়েগুলো। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে দেওয়া হল একখান করে শংসা পত্র। আমার আর সৌম্যজিতের সই করা, পাতি কালার প্রিন্টারে প্রিন্ট করা, এক টুকরো মোটা কাগজ, যাতে লেখা শ্রীমতি অমুক, এই তারিখে, এই স্থানে, এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার ভবিষ্যতের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য আমাদের তরফ থেকে রইল এক চুপড়ি শুভেচ্ছা। 


 শংসাপত্র দেবার সময় জানতাম না যে, এমন গোল বাঁধবে। আজ বিকালে হঠাৎ ধরলেন জহর বাবু, "ম্যাডাম, আমাকেও ওরকম একটা শংসাপত্র দ্যান"। ইতিমধ্যে কেটে গেছে দিন দুয়েক, আর পাঁচটা কাজে, মাথা থেকে বেরিয়ে গেছে কিসের শংসাপত্র। অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, 'কি চাইছেন? বুঝলাম না।' উনি বললেন, " ওই যে, পুতুল মনিকে যেরম দিইছেন।"  জহর বাবুর পুতুল মনি হল আমাদের সুইপার মাসি। পাকেচক্রে তিনিও ওই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বটে এবং আর অন্যান্যদের সাথে সাথে তার ভাগ্যেও একটি শংসাপত্র জুটেছে। সেটা নিয়ে মাসি চুপচাপ কেটে পড়লে কোন সমস্যা হত না। কিন্তু তিনি সেইটি জহর বাবুকে দেখিয়েই বিপদ ডেকে এনেছেন। অন্যের দেখে ছোট্ট বাচ্চারা যেমন বল বা খেলনার বায়না করে, ঠিক তেমনি একখানি শংসাপত্রের বায়না জুড়েছেন জহর বাবু। যত বোঝাই ওটা একটা পাতি কাগজ বই কিছু না। কিন্তু জহর বাবুর বক্তব্য হল যেহেতু আমার সই করা কাগজ নিশ্চয়ই ওইটা দিয়ে বিরাট কিছু আদায় করতে পারবে মাসি। তাই ওনারও ঐটি চাই। কি জ্বালায় যে পড়েছি। ভাবছি একখানা শংসাপত্র লিখেই ফেলব বুড়ার জন্য। কি লিখবো সেটা অবশ্য ভাবার বিষয়। এত খেয়াল রাখে বৃদ্ধ আমার, অফিসে ঢোকার সাথে সাথেই গুড মর্নিং সম্ভাষণপূর্বক দরজা খুলে দেয়, দরজা ভেজিয়ে দেয়, জানলা খুলে/ বন্ধ করে দেয়, পর্দা সরিয়ে/টেনে দেয়, আলো জ্বালিয়ে দেয়, পাখা চালিয়ে দেয়, আবার না বলতেই এসে পাখার স্পিড বাড়িয়ে বা কমিয়ে দিয়ে যায়, বাতানুকূল যন্ত্রের সুইচ অন করে, রিমোট খানা হাতের কাছে দিয়ে যায়, না বলতেই চায়ের কাপ এনে ধরে মুখের কাছে, দশবার খোঁজ নেয় টিফিন খেয়েছি কিনা। এহেন বৃদ্ধের শংসাপত্র কি অমন হুট কথায় লেখা যায়? সময় লাগবে নি? সে কথাই বললাম জহর বাবুকে, একটু ভাবতে তো দিবেন। দাঁড়ান ভাবি, তারপরে জম্পেশ করে লিখব খন আপনার প্রশংসা পত্র। যাই বলুন না কেন, মেয়েদের যেমন empowerment লাগে পুরুষদেরও তেমনি pampering লাগে মশাই। ওরা স্বীকার করে না বা মুখ ফুটে বলতে পারে না, তাই বলে কি আমরা বুঝি না?

No comments:

Post a Comment