#অনিরডাইরি #কাঁথিরকিস্যা
গতকাল সন্ধ্যায় তুত্তুরীকে পড়াতে বসে হাউ হাউ করে কাঁদছিলাম, আর এখন ফোন হাতে উদ্বিগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, বাংলোর গেট খুলে। অফিসারের সুন্দরী, পরিশীলিত স্ত্রী হবার কোন যোগ্যতাই আমার নেই। ইতিপূর্বে কোন মহকুমা শাসকের বউ যে এমন ভাবে ছোট গেটে দাঁড়িয়ে কারো প্রতীক্ষা করেননি, বেশ বুঝতে পারছি। সিকিউরিটি অরূপ বাবু বার চারেক গলা খাঁকারি দিয়ে অবশেষে বলেই ফেললেন, ' আপনি ভিতরে গিয়ে বসুন ম্যাডাম,দরকার হলে আমি দাঁড়াচ্ছি বাইরে গিয়ে। ওরা ঠিক চলে আসবে। '
চলে তো আসবেই, ওরা আমার তারা যে। কদমতলা পাওয়ার হাউসের তেমাথার মোড়, ওই যে যেখানে বুড়ো বটের নীচে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন খণ্ডিত বঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, ওখান থেকে মাত্র কয়েক কদম দূরেই আমাদের বিদ্যালয়, ‘তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যাভবন।’ তারাসুন্দরীর প্রাক্তনী হিসেবে, আজও আমরা নিজেদের তারা বলে পরিচয় দিতে অত্যন্ত শ্লাঘা বোধ করি।
মনে হয় এই তো সেদিনের কথা। ভোর ভোর বসত প্রাইমারি স্কুল, বেলা বাড়লে সেকেণ্ডারি। শিশু শ্রেণী থেকে অষ্টম অবধি ইউনিফর্ম ছিল সাদা জামা, লাল বেল্ট, পায়ে সাদা কেডস্ আর মাথায় লাল ফিতে। বুকে লাল সোনালী ব্যাজে ডানা মেলে উড়তে উদ্যত দুই মরালী। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর লাল পাড় সাদা শাড়ি।
জীবনের অমূল্য ১২/১৩ বছর কেটেছে ঐ স্কুলে। গড়ে উঠেছে শ্যামল মোলায়েম বন্ধুত্ব। সময়ের উত্তাপে আগ্নেয় শিলার মত জমে পাথর হয়ে গেছে কিছু সম্পর্ক, কিছু বা হারিয়ে গেছে, ভেঙে গেছে সময়েরই অভিঘাতে। বিদ্যালয়ের নিরাপদ জীবন শেষে ছিটকে পড়েছে তারারা মহাকাশ জুড়ে। রক্ষণশীল স্নেহাদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা আর পাঁচটা মেয়ের মতোই আমাদেরও ধারণাই ছিল না, জীবন কতটা রূঢ়, কতটা নির্মম। লড়তেই হয়, নয়তো হারিয়ে যেতে হয়। যে যার নিজস্ব সংগ্রামে এমন ব্যাপৃত হয়ে পড়েছিলাম আমরা, বলতে পারেন হারিয়েই ফেলেছিলাম সব প্রিয় সম্পর্ক গুলোকে।
কিন্তু কমলি কি অত সহজে ছাড়ে। তাই তো দূরে গিয়েও ফিরে ফিরে আসি আমরা। ভৌগলিক দূরত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে বেঁধে বেঁধে থাকি আমরা। একত্রিত হই যাবতীয় উৎসব, অনুষ্ঠানে। ভাগ করে নিই একে অপরের সাংসারিক জটিলতা, উদ্বেগ, হতাশা, অবসাদ থেকে তুচ্ছাতিতুচ্ছ আনন্দও। চয়ন বলে, ' ভাই তোদের সুখের দিনে আমায় বেমালুম ভুলে যা, কোন ব্যাপার না। দুঃখের দিনে কেবল ডাকতে ভুলিস না।'
অধম অবশ্য এক আনন্দমাখা প্রভাতেই ডেকেছিল তার তারাদের। তখনও আমরা তাম্রলিপ্ত নগরীর নিবাসী। সদ্য বিদায় নিয়েছেন শ্যামাঙ্গিনী। খুলে ফেলা হয়েছে দীপাবলীর আলো, মফস্বল জুড়ে হেমন্তের ছোঁয়া। কুয়াশায় মোড়া মায়াবী ভোরে বাগানে আড্ডা জমিয়েছিল একদল দুধ সাদা বক। বন্ধ কাঁচের জানলার এপার থেকে দেখে মনে হয়েছিল, ' ঠিক যেন আমরা।' লুকিয়ে তোলা সেই ছবি গ্রুপে পাঠাতেই, 'তমলুক যাব ' বলে লাফিয়ে উঠেছিল অন্তরা।
ডিসেম্বর-জানুয়ারির কোন এক ছুটির দিনের পূণ্য প্রভাতে তাম্রলিপ্তে তারাদের আগমনের নির্ঘন্ট তো স্থির হল, তারপরই ঝুপ করে বদলে গেল আমাদের নিবাস। পিছিয়ে এলাম প্রায় সত্তর কিলোমিটার। ধামাচাপা পড়ে গেল সবকিছু।
দিন দশেক আগে নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশের আমন্ত্রণ জানালো জনৈকা বান্ধবী। মিলনস্থল হাওড়া শহরেই। আমার মত হতভাগ্য জনা দুই ছাড়া সবাই এক বাক্যে রাজি হয়ে গেল। খ্যাঁক করে উঠল কেবল অন্তরা। ‘তোরা কি রে? ঐদিন আমরা অনির বাড়ি যাব বলে কথা দিয়েছি না। আর কেউ না যাস আমি একাই যাব আমার ছেলেকে নিয়ে।’
অনির বাড়ি তো আসবে, কিন্তু আসবে কি করে? চয়ন আমায় ফোন করে ঘোর অফিস টাইমে, ‘ বল রে ইয়েটা, কি ভাবে যাব?’ আমরা নিজেরাই সদ্য এসেছি। কিছুই জানি না। তাও আমতা আমতা করে বললাম, কেন, ট্রেনে করে। দীঘার ট্রেনে উঠে কন্টাই নেমে পড়বি। শীতকালের সপ্তাহান্তের সকালে যেন দীঘার টিকিট পাওয়া অতই সোজা। তাও আবার এতজনের। আসার যাও বা মেলে, ফেরার টিকিট মেলে না।
বাসেও আসা যায় স্বছন্দে, দীঘার বাস খুব সহজেই মিলবে বেলেপোল থেকে। তবে এই ট্যুরিস্ট মরশুমে, ছুটির দিনে বাচ্ছা সমেত এতগুলো মেয়ে, কি আদৌ অত ভিড় বাসে উঠতে পারবে? বাকি রইল গাড়ি। এই সময় গাড়ি পাওয়াও কি অত সহজ রে ভাই। যা ছিল সব আগেই বুক করে নিয়েছে ভ্রমণ পিপাসু তথা পিকনিক প্রেমী সমঝদার জনতা। ধীরে ধীরে পিছু হঠতে থাকে বেশ কয়েকজন তারা। এতটা দূর, যাওয়া-আসা নিয়ে ভোর থেকে প্রায় মাঝরাতের গল্প। উৎসব মুখর দিনে প্রিয়জনকে ছেড়ে অতক্ষণ থাকা যায় নাকি?
হতোদ্যম হয় না কেবল অন্তরা, "না যাবোই আমরা তোর কাছে।" চয়ন, অন্তরা, শুভমিতা আর অ্যাঞ্জুলা এই চারজন পাগলের মত গাড়ি খুঁজতে থাকে। ছোট,বড় যা হয় হোক, ঠেসেঠুসে ধরেই যাবে সবকটা। শেষ পর্যন্ত যোগাড় হয়েই যায় একটা বড় গাড়ি। হয়তো অনেকটা বেশি দামী, তা হোক, ওরা আসবেই, ওদের অনির কাছে।
দিন গুনি, ঘর সাজাই, মেন্যু বানাই আমি। কি করব, কি খাব, কি পরব, কোথায়, কিভাবে ছবি তুলব ইত্যাদি প্রভৃতি। পেঁচার মত গোল গোল চোখ করে দেখতে থাকে শৌভিক। ‘তোর বন্ধুরা এত টাকা খরচা করে, এত দূর কাঁথি আসবে শুধু তোকে দেখতে? আর কোথাও যাবে না? দীঘা? তাজপুর? মান্দারমনি?’ ব্যাপারটা বোধগম্য হয় না আমার বরের। জবাবে বলি, "আমরা তারা না, আমরা ওমনিই।'
সত্যিই, আমরা তারা বলেই হয়তো আজ ওরা আসছে। আর কি যে অসম্ভব প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আসছে, তা সিকিউরিটি অরূপ বাবু জানেন না বটে, আমি জানি। চয়নটার নার্ভের ব্যামো আছে। যখন তখন উল্টে যায়। ‘গিরি হুয়ি অউরৎ’ বলে ক্ষেপাই আমরা। দিন কয়েক আগেই ভোরের ট্রেন ধরতে গিয়ে গড়িয়ে পড়েছে হাওড়া স্টেশনের সাবওয়েতে। সাত- আটটা সিঁড়ি গড়িয়ে পড়েও থমকায়নি, উঠেছে, ধুলো ঝেড়েছে তারপর ঐ অবস্থায় দৌড়ে ট্রেন ধরেছে। ভিন রাজ্যের সেমিনার অ্যাটেন্ড করেছে, তারপর আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। হোটেলের লোকেরা আক্ষরিক অর্থেই তুলে নিয়ে গেছে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে। ইঞ্জেকশন আর ওষুধের জোরে কোন মতে বাড়ি ফিরেছে বটে, সেই থেকে শয্যাশায়ী। না হাঁটতে পারছে, না ডান হাতে কিছু তুলতে পারছে।
শুভমিতার অবস্থা আরোও খারাপ। পরশুদিন খাট থেকে পড়ে গেছেন ওর মা। আপদ হাওড়া শহর, জনে জনে ফোন করেও কোন ডাক্তারকে বাড়িতে আনতে পারেনি। স্থানীয় এক ডাক্তারবাবুর কম্পাউন্ডার, যিনি নিজেকে হাফ ডাক্তার বলে দাবী করেন,শেষ পর্যন্ত তিনি দেখে বলেছেন সম্ভবতঃ হিপ জয়েন্ট ফ্রাকচার। এক্সরে করা আবশ্যক কিন্তু রুগীকে নড়ালে বিপদ বাড়বে। গতকাল মেশিন এনে বাড়িতে এক্সরে হয়েছে কাকিমার। সেই রিপোর্ট ছোঁয়া মাত্র বড় অস্থি বিশেষঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন,‘সার্জারি করিয়ে নিন।’ দুশ্চিন্তা দুর্ভাবনায়, গতকাল সন্ধ্যে বেলাও পাগলের মত করছিল মেয়েটা।
নেহাৎ অন্তরা জোর করে ধরে নিয়ে গিয়েছিল এক বয়োজ্যেষ্ঠ অস্থি বিশারদের কাছে। রাত দশটার ফোনে অন্তু বলছিল,‘বুড়োটা আমার কাছে ভগবান। বুঝলি অনি। এই আপদ দুটোকে সেটাই বললাম। চল একবার দেখিয়ে নে।’
অন্তরার নিজেরও যা অবস্থা। সামনেই ছেলের বোর্ড পরীক্ষা। এমনিতে টিনটিন খুব ভালো ছেলে, দক্ষিণ কলকাতার সবথেকে বড় কনভেন্ট স্কুলের ছাত্র, উঠতি চকলেট হিরোদের মত দেখতে, অসম্ভব ভালো গানের গলা। নম্র, ভদ্র, বিনয়ী এবং অন্তরা যতই অস্বীকার করুক, মায়ের ভয়ানক বাধ্য। সব মিলিয়ে সোনার টুকরো। দোষ একটাই, বড় বেশী রকমের ভোম্বল। একটা উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন, তিনি সম্প্রতি প্রি বোর্ড পরীক্ষার রুটিন না দেখে ভূগোল পরীক্ষার দিন কেমিস্ট্রি পড়ে চলে গিয়েছিলেন।
তো এহেন টিনটিন বাবু প্রি বোর্ড পরীক্ষার আগে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে নিয়ে কলকাতা-হাওড়া করে করে নাজেহাল হয়ে একটু সুস্থ করে তুলেছে অন্তরা। এরই মধ্যে তো হঠাৎ মারা গেলেন ওর জেঠু।
সবথেকে বড় দুঃসংবাদ এসেছে গতকাল রাত্রে। আচমকা মাতৃহারা হয়েছে আমাদের এক প্রিয় বান্ধবী। এমনি- এমনি কাঁদিনি গতকাল রাতে। যত বয়স বাড়ছে, প্রিয় জন হারানোর ভয় এবং বেদনাও যেন ততো তীব্র হচ্ছে। শোকের আর আপন পর থাকছে না।
গাড়িটা বাতিল করে দিয়েছিল ওরা। আমিও বলেছিলাম, এই ভাবে আসা যায় নাকি। বুড়ো ডাক্তারের বদান্যতায় যখন জানা গেল, কাকিমা শুধু ট্র্যাকশন দিলেই সুস্থ হয়ে যাবেন, আর চয়ন রেস্ট নিলেই আবার চাঙ্গা হয়ে যাবে, পুনরায় উজ্জীবিত হয়ে উঠল তারা এন্ড কোং। সঙ্কোচের মাথা খেয়ে বাতিল করা গাড়িকে ফোন করতে লাগল এঞ্জুলা। ঝাড়া এক/দেড় ঘন্টার চেষ্টায় যখন ফোন ঢুকল না তাঁর মোবাইলে, বৈশাখী আমায় ফোন করে জানাল, ' তুই ভাবিস না। আমরা যাবোই। একটু ভোর ভোর বেরিয়ে বাসেই চলে যাব।' শৌভিক আবার বলল, ' এত কষ্ট করে কেন আসবে? তোকে দেখতে?' কি বলি? হয়তো তাই, আমরা ওমনিই!
শেষ পর্যন্ত অবশ্য পাওয়া যায় গাড়ি দাদাকে। তিনি অন্য ভাড়া না পেয়ে মনের দুঃখে বনে গিয়েছিলেন হয়তো, পর্যায়ক্রমে এতগুলো বৌদির ফোন পেয়ে তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে গেলেন কাঁথি আসতে। পইপই করে বলেদিলাম, যত পারিস ভোরে বেরোস। প্রাতরাশের জন্য কোথাও দাঁড়াস না। গরম গরম কড়াইশুঁটির কচুরি আর গুলি আলুর দম খাওয়াব, মানে মানে এসে উদ্ধার কর। তখনও কাজ চলছিল, বন্ধ ছিল সাঁতরাগাছি ব্রিজ। আসার রাস্তা অন্য দেখাচ্ছিল গুগল। ভুলেও যেন ও পথ ধরিস না। আটকে গেলে ফেঁসে যাবি ব্যাটারা। একটু দাঁড়াতে হলেও হাই রোড ছেড়ে নড়িস না।
এতকিছুর পর যখন ঘটে গেল এত বড় অঘটন, আর কাউকে কিছু বলার মুখ রইল না। মধ্যরাতেও অন্তরা লিখেছিল,‘জানি না অনি। বুঝতে পারছি না কি করব। এখনও খাওয়া হয়নি। কখন খাব, কখন শোব জানি না। চয়নটাও এত ভেঙে পড়েছে, ওর যা শরীরের অবস্থা। শুভমিতাও যেতে চাইছে না, কাকিমাকে ঐ অবস্থায় ফেলে। কাকিমা যদিও বলেই চলেছে, 'তোরা ওকে নিয়ে যা। জোর করে ধরে নিয়ে যা। মেয়েটা একা একা এত কিছু করছে, দুদণ্ড বিশ্রাম পাক। কাকু আছে, আয়া আছে আমার কোন সমস্যা হবে না।’
ফোন চার্জে বসিয়ে যখন কম্বলের নীচে ঢুকলাম, আধ ঘুমন্ত শৌভিক জানতে চাইল, ‘তোর বন্ধুরা কাল আসছে না তো?’ বললাম জানি না। যদি আসে, কজন আসবে? ভদ্রমহিলার এক কথা, 'জানি না।' বিরক্ত হয়ে পাশ ফিরে শুতে শুতে গজগজ করে শৌভিক,‘ যদি আসে খাওয়াবি কি? কি রাঁধবি, কজনের জন্য রাঁধবি কিছুই তো জানিস না দেখি।দোকান বাজার ও কিছু করলি না।’ সত্যিই কিছু জানি না আমি। জানে না কেউই।
ভোর সাতটা বাজতে পাঁচে যখন ঝনঝনিয়ে উঠল ফোনটা, ধড়মড় করে উঠে বসলাম দোঁহে, ফোনের ওপার থেকে শুভমিতার তীব্র চিৎকার,‘অনিইইইই আমরা আসছিইইইই। সবাই আসছিইইই। পাক্কা আট জননননন”। আধ ঘুমন্ত বরকে মারলাম এক গোঁতা,‘বাজার কর। খাবার অর্ডার দে। আট জন আসছে।’ মাথা চুলকায় শৌভিক, এতজন কি করে হল। কি হল, কেন হল,কিভাবে হলর গল্প তো চলতেই থাকবে, আপাততঃ ব্যাটারা আসুক তো।
কড়ায় ঠাণ্ডা হচ্ছে বাগানের ধনে পাতা ছড়ানো গুলি আলুর দম। কড়াইশুঁটির পুর উদরস্থ করে রেডি হয়ে আছে, সাদা ময়দার লেচিরা। গরম গরম নতুন গুড়ের রসগোল্লা ও রেডি। ব্যাটারা আসুক তো। "দাঁড়া নাচিন্দা মায়ের মন্দিরে মাথা ঠুকে যাই" মেসেজ করেছে শুভমিতা পনেরো মিনিট আগে। ওখান থেকে আমাদের নিবাস বড়জোর মিনিট পনেরো। জলদি আয় ব্যাটারা আর যে তর সয় না।
ঘাড় ঘুরিয়ে জবাব দিই,‘অরূপ বাবু আপনি বসুন, আজ আমিই এই বাংলোর সিকিউরিটি। ওরা এলে বড় দরজা আমিই খুলে দেব।’ নাহলে এই অতিথিদের মান থাকবে নাকি।
No comments:
Post a Comment