ঠিক নটায় বেরোই আমরা। যদিও রিপোর্টিং টাইম নটা চল্লিশ আর গাড়িতে যেতে সময় লাগে মাত্র বিশ মিনিট, তবুও একটু আগেভাগেই বেরোই আমরা। রাস্তাটা বেশ ফাঁকা থাকে, মাত্র পাঁচ মিনিট দেরী হলেই প্রায় একসাথে হুড়মুড় করে এসে হাজির হয় গোটা বারো ইস্কুল বাস, একগাদা গাড়ি, কয়েকশ বাইক আর বোধহয় কয়েক হাজার টোটো। পরিণামে গাড়িওয়ালাদের উত্তপ্ত বাদানুবাদ ছাড়া সাময়িক ভাবে স্তব্ধ হয়ে যায় জীবন। তখন ভারী স্কুলের বস্তা সহ মেয়ের হাত ধরে দৌড়তে হয় প্রায় হাফ কিলোমিটার।
তাই একটু আগেভাগেই বেরোই আমরা। গাড়ির চাকা বাড়ির সীমানা ছাড়ালেই মায়ের মুঠো ফোনের জন্য হাত বাড়ায় তুত্তুরী। ওদিকেও ঠিক নটা বাজলেই তুত্তুরীর ভিডিও কলের জন্য মুখিয়ে থাকে বাবা। প্রতিদিন কল কানেক্ট হলে একই দৃশ্য দেখি আমরা, একহাতে জ্বলন্ত সিগারেট, অন্য হাতে আমার মায়ের মুঠো ফোনটা নিয়ে আয়েস করে সোফায় বসছে বাবা। এবং প্রথম সংলাপটাও রোজই মোটামুটি একই থাকে, ধোঁয়া ছেড়ে উদাত্ত কণ্ঠে জানতে চায় বাবা, ‘তুত্তুউউরী বেরিয়ে পড়েছ? সঙ্গে কে যাচ্ছে?’ মোবাইল ক্যামেরা ঘুরিয়ে আমায় দেখায় তুত্তুরী। ক্যামেরা আবার তুত্তুরীর দিকে ঘুরে যায়। বাবা বলে,“ বাঃ! গাড়িতে যাচ্ছ। ‘গাড়ি চালায় বংশীবদন, সঙ্গে যে যায় ভাগ্নে মদন-’।” ড্রাইভার পলাশ শুনতে পাবে ভেবে মৃদু ধমকায় তুত্তুরী। নাতনীর ধমক খেয়ে, সিগারেটে একটা লম্বা টান মারে বাবা, অতঃপর বলে, ‘আচ্ছা তুত্তুরী, তোমার যেমন একটা পলাশ কাকু আছে, তেমনি কোন শিমূল কাকু নেই?’ দাদুর উৎপটাং কথায় হেসে গড়িয়ে পড়ে তুত্তুরী। নিমতৌড়ির সরকারী আপিস আর আবাসনে ঘেরা এলাকা ছাড়িয়ে গাড়ির চাকা গড়ায় রেলগেটের দিকে। দুদিকে ছাড়া ছাড়া এক দুতলা বাড়ি আর তাদের ফাঁক দিয়ে চোখে পড়ে পিছনের ঘন সবুজ ক্ষেত, পুঁচকে দীঘি, আল বরাবর তাল আর নারকেল গাছের সারি। এখানে এলেই ক্যামেরাটা জানলার দিকে ঘুরিয়ে দেয় তুত্তুরী। দাদুকে চেনাতে চেনাতে নিয়ে চলে পথঘাট। দাদু কিন্তু আটকে থাকে শিমূল আর পলাশের জঙ্গলে। ‘জানো তো তুত্তুরী, পলাশ কাঠের ধোঁয়ায় ভূত পালায়।’ ধ্যাৎ বলে হেসে ফেলে তুত্তুরী। দাদু গল্প শোনায়, কাদের বাড়িতে যেন ভয়ানক ভূতের উপদ্রব হয়েছিল, ওঝা বলেছিল ভূত তাড়াতে মস্ত হোম করতে হবে। তবে বেল কাঠ নয়, হোম হবে পলাশ কাঠে। বড় জেঠু তখন হাজারিবাগে পোস্টেড। কিভাবে যেন বড়জেঠুকে ধরে কয়েক কেজি পলাশকাঠ যোগাড় করে দিয়েছিল বাবা, সেই গল্প চলে।
রেল ক্রশিং এ আটকে পড়ি আমরা। ডান দিকে দাঁড়িয়ে আছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর পিছনে দাঁত বার করে দাঁড়িয়ে বিরাট একটা ডাইনোসরাস। খামোখা স্বামীজীর পিছনে ডাইনো ছাড়ার কি মানে ভগবান জানে। রোজ এইটা নিয়ে এক প্রস্থ চর্চা করি আমরা বাপ-মেয়ে আর নাতনীতে।
রেল ক্রশিং পেরিয়ে গাড়ি গড়ায় হসপিটাল মোড়ের দিকে। হসপিটাল মোড়ের ক্রশিংয়ে ধুতি পাঞ্জাবি পরে দাঁড়িয়ে আছেন শহীদ ক্ষুদিরাম। আমাদের তমলুকের হ্যামিলটন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। দাদু আর নাতনী আদর করে তাঁর নাম দিয়েছে,‘ছোকরা বা বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছোকরা।’ রেল গেট পেরোলেই ছোকরাকে দেখার বায়না করে দাদু। আর তুত্তুরী বায়না করে গল্প শোনার।
নাতনীর আব্দারে, সাতসকালে "দাদুর ঝুলি" খুলে বসে বাবা। ‘ তোমাদের তুলনায় আমাদের ছোটবেলাটা ছিল অনেক সাদামাটা, আড়ম্বর বিহীন। আমাদের ছেলেবেলায় বিনোদন বলতে ছিল বাঁদর নাচ,ভাল্লুক নাচ, জাদুর খেলা আর নররক্ষস"। বাঁদর নাচ- ভাল্লুক নাচের গল্প চলে কিয়ৎক্ষণ, অতঃপর জানতে চায় বাবা, " তুত্তুরী তুমি পিসি সরকারের নাম শুনেছ?’ শুনেছে তুত্তুরী। বিখ্যাত যাদুকর। ঘাড় নাড়ে দাদু, বলে, তাঁর ছোটবেলায় জাদুর দুনিয়া যিনি কাঁপাতেন তিনি হলেন পিসি সরকার সিনিয়র। বছরে আটমাসই তিনি বিদেশে শো করে বেড়াতেন আর দিশি কাগজে ফলাও করে বেরোত পিসি সরকার সিনিয়রের অলৌকিক সব কাণ্ড কারখানা। সাধারণ পাঠক পড়ত, আর তাদের মনে হত, তিনি নিছক সাধারণ মানুষ নন, তাঁর যাদু নিছক চোখের ধাঁধা নয়। ‘উইজার্ড ছিলেন নাকি?’ ফস্ করে বলে ওঠে তুত্তুরী। সামান্য বিরক্ত হয় দাদু। তারপর বলে, 'নাঃ তা ছিলেন না। তবে সেটা তাঁর জীবদ্দশায় কেউ বুঝতে পারেনি। উনি মারা যাবার বহু বছর পরে, তোমার মায়েদের ছোটবেলায় ওণার পুত্র, জুনিয়র পিসি সরকার তাঁর বাবাকে নিয়ে এক মর্মস্পর্শী লেখা লেখেন। তাতে সেই সময় প্রচলিত অনেক গুজবের আসল কারণ ব্যাখ্যা করেন।’
‘দাদু তোমার ছোকরা এসে গেছে’, বলে কাঁচ নামায় তুত্তুরী। ছোকরাকে ঘিরে গোল করে ঘুরে যাই আমরা। পরবর্তী গন্তব্য, ‘বৃদ্ধা বা ঝান্ডা কাঁধে বৃদ্ধা।’ বুঝতেই পারছেন, পূব মেদিনীপুরের ঘরের মেয়ে। গান্ধী বুড়ি। আবার কাঁচ তুলে দেয় তুত্তুরী। দাদু আরেকটা সিগারেট ধরায়, অতঃপর আবার দোঁহে ফিরে যায় দাদুর শৈশবে। সদ্য স্বাধীন ভারতবর্ষে। উপর্যুপরি দেশ ভাগ এবং কয়েক বছর আগের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিঘাতে ধুঁকছে বঙ্গদেশ। পিসি সরকার সিনিয়রের যাদু দেখার ক্ষমতা হাওড়া শহরের খুব কম লোকেরই ছিল। মধ্য হাওড়া বাসীদের জন্য ছিলেন স্থানীয় ছোট খাট যাদুকর তথা নররাক্ষস। “নররাক্ষস” শুনে নড়ে চড়ে বসে তুত্তুরী।
দাদু বলে চলে,“হ্যাঁ। মধ্য হাওড়ার বিভিন্ন জমিদার বাড়িগুলোতে বসত যাদুকর আর নররাক্ষসের খেলা। আমাদের মামার বাড়ির বাগানেও একবার হয়েছিল। দাদুর অনুমতি নিয়ে পড়েছিল তাঁবু। টিকিটের দাম একআনা। খেলার সাত দিন আগে থেকে যাদুকরের লোকজন রিক্সা চেপে মাইক নিয়ে প্রচার করত পাড়ায় পাড়ায়। মাইক মানে তোমাদের এখনকার মত না। নিছক টিনের চোঙা। তাই মুখে নিয়ে চিৎকার করত। আবার কখনও কখনও ঘোড়ায় টানা গাড়িতে ব্যাণ্ডপার্টি নিয়েও চলত যাদু খেলা আর নররাক্ষসের প্রচার। ব্যাণ্ডপার্টির গদাগুম গদাগুম বাজনা শুনে ছুটে যেতাম আমরা। তখন যাদুকরের অ্যাসিস্টান্ট কোচোয়ানের পাশে দাঁড়িয়ে চোঙা নিয়ে চিৎকার করত।
সাধারণতঃ রবিবার বা ছুটির দিনে খেলা হত। এক আনা পয়সা দিলে ছোট্ট এক টুকরো কাগজে রাবার স্ট্যাম্প মেরে দিয়ে দিত আমাদের। ওটাই টিকিট। সে যে কি উত্তেজনা তুত্তুরী। টিকিট কাটার পর থেকে উত্তেজনায় রাতে ঘুম আসত না আমাদের।
আগে হত যাদুর খেলা। পিসি সরকারের মত নয়। ছোট খাট যাদু দেখাতেন যাদুকর। তাসের খেলা। কান মুলে পিছন দিয়ে আমেরিকান ডেলের বড়া বার করা-”।
“কিঃ” বলে হেসে গড়িয়ে পড়ে তুত্তুরী। হেসে ফেলি আমিও। অতি কষ্টে হাসি চাপে পলাশ। বাবা বলে,“দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য বৃটিশ সরকার যে শুধু চাল গুদামজাত করেছিল তাই নয়, সেপাইদের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছিল ডালও। ফলে বাজারে সে কি হাহাকার। ডালের বদলে আমেরিকা থেকে রপ্তানি করা হয়েছিল কোন এক বিশেষ ধরণের সিরিয়াল। লোকে বলত,‘আমেরিকান ডেল’। উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে থেকে এক জন ভলান্টিয়ার চাইত যাদুকর। যে ছেলেটা উঠে যেত, তার বুক পকেটে একটা আমেরিকান ডেলের বড়া রেখে, কি সব অং বং মন্ত্র পড়ত যাদুকর। অতঃপর দেখা যেত ছেলেটার বুক পকেট ফক্কা। কোথায় গেল আমেরিকান ডেলের বড়া। সেই ডেলের বড়া যাদুকর বার করত, ছেলেটার পিছন থেকে।
সবশেষ খেলা ছিল নররাক্ষস। বাগানে একটা কবরের মত গর্ত খোঁড়া থাকত। যাদুকর তাঁবুর ভিতর গিয়ে পোশাক বদলে এসে সেই গর্তে শুয়ে পড়ত। গর্তের মুখটা ঢেকে দেওয়া হত একটা মস্ত কাঠের পাটাতন দিয়ে। তারওপর আবার মাটি চাপা দেওয়া হত। এগুলো করত স্থানীয় ছেলেরা। যাদুকর মাটির তলায় কিভাবে শ্বাস নিত কে জানে? তারপর ক্ষণিক অপেক্ষা। সেকি উত্তেজনা। গোটা তাঁবু জুড়ে সবাই ভয়ে জড়সড়। একটা পিন পড়লেও যেন শব্দ হয়।”
গাড়ির ভিতরেও প্রায় পিন পড়ার শব্দ শোনা যায়, বাঁহাতের শটকার্ট রাস্তাটা ধরতে গিয়েও ধরে না পলাশ। দাদু-নাতনীর প্রিয় বৃদ্ধার মূর্তির দিকে গড়ায় গাড়ির চাকা। বেশ কয়েকবার সিগারেটে টান দিয়ে, গলা ঝেড়ে আবার গল্প শুরু করে বাবা,‘তারপর, বেশ অনেকক্ষণ কেটে যায়। উদ্যোক্তরা ছেলেরা, যারা অধিকাংশই দাদা মানে তোমার বড়দাদুর বন্ধু ছিল, মাটি খুঁড়ে,পাটাতন সরিয়ে যাদুকরকে বার করে আনে। সে ততোক্ষণে যাদুকর থেকে নররাক্ষসে পরিণত। তার তখন সে কি ভয়ানক রূপ। উস্কোখুস্কো চুল, লাল ভাঁটার মত চোখ। সে তখন উন্মাদের মত ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় সামনে উপস্থিত কচিকাচা দর্শকদের ওপর। নররাক্ষসের কোমরে মোটা করে দড়ি বেঁধে দুদিক থেকে দুতিন জনে মিলে ধরে রাখে, তাও পারে না। নররাক্ষস,‘হাউ মাউ খাঁউ, মানুষের গন্ধ পাঁউ’ করতেই থাকে। শেষে কেউ একজন একটা জ্যান্ত মুর্গি ছুঁড়ে দেয় নররাক্ষসের দিকে। ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই মুর্গিটাকে ধরে নেয় নররাক্ষস, তারপর সবার সামনে তার ঘাড় মটকে, পালক ছিঁড়ে, ছাল ছাড়িয়ে তাকে খেতে থাকে। সে কি ভয়ানক দৃশ্য তুত্তুরী। খেলা শেষ হয়ে যাবার বেশ কিছুদিন পরও আমাদের থেকে ছোট বাচ্ছা যারা ছিল, এই ধর তোমরা ছোটদাদুর বয়সী, তারা একা ঘুমাতে পারত না রাতে। মায়ের বুকের কাছে শুয়ে ভয়ে কাঁপত। মাংস খাওয়া শেষ হলে, নররাক্ষস আবার মানুষ হয়ে যেত। বুঝলে তুত্তুরী, তখন না বুঝলেও, বড় হয়ে বুঝেছিলাম, নিছক দুটো পয়সা রোজগারের ধান্ধায় জ্যান্ত মুরগি খেত লোকটা। পেটের দায়ে মানুষকে কি না করতে হয়।’
শহীদ মাতঙ্গিনীর পাশ দিয়ে নীরবে বেঁকে যায় গাড়ি, অভাবী নররাক্ষসের জন্য গাড়িতে বিরাজ করে এক মনখারাপি নীরবতা। কখন যেন এসে পড়ে তুত্তুরীর স্কুল। ফোন কেটে দেয় তুত্তুরী। আজ সকালের উপাখ্যান শেষ হয় এখানেই। কাল আবার হবে নতুন কোন গল্প। যার সাক্ষী থাকবে বিবেকানন্দ-ডাইনো-ছোকরা আর বৃদ্ধা। কে জানে কাল কার পালা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরাধীন বা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসবে হয়তো আবার কোন অনামী চরিত্র, যারা নীরবে বেঁচে, নীরবেই ঝরে গেছে কালের লিখনে, রেখে গেছে শুধু এক ঝাঁক স্মৃতি।
*বিধিসন্মত সতর্কীকরণ*- আমার সাদামাটা জীবনের সাদামাটা দিনপঞ্জি। 'মশা মারতে কামান দাগা' বা পাঠকের মূল্যবান সময় অপচয় করা কোনটাই অধমের অভিপ্রায় নয়। অজান্তে যদি করে থাকি নিজগুণে মার্জনা করবেন। আমার আপাতঃ সুখী সুখী দিনপঞ্জি যদি আপনার নিছক ন্যাকা লাগে, বিবমিষা উদ্রেক থাকে তারজন্যও করজোড়ে মার্জনা ভিক্ষা করি। জোর করে অসুখী, আঁতেল মার্কা লেখা কি করে লিখি বলুন দিকি? দুঃখ যে বড় ব্যক্তিগত অনুভূতি, তাকে কি সবার সামনে বিবস্ত্র করা যায়? মুস্কিল হল আপনি যদি আমার সামান্য সুখের মুহূর্তটাকেই না হজম করতে পারেন, আমার দুঃখটা কি আদৌ আপনার গলা দিয়ে নামবে? সন্তান গরবে গরবিনী বলেও খোঁটা দিল সেদিন কেউ, কি করি বলুন তো, আমি যে নিজেও ঐ শিক্ষায়, ঐ প্রশ্রয়ে বড় হয়ে উঠেছি গো। যেদিন অপরিচিত ছিল শৌভিক, যেদিন পকেট ছিল গড়ের মাঠ, যেদিন চেহারা ছিল নিছক ভিড়ে মিশে থাকা অপাংক্তেয়, সেদিনও যে আমাকে নিয়ে আমার বাবার গরবে মাটিতে পা পড়ত না। আজও বৃদ্ধকে একবার জিজ্ঞাসা করুন দিকি, এই পৃথিবীর সেরা কন্যে কে?দেখবেন তুত্তুরীকেও দ্বিতীয় স্থানে রাখবে বৃদ্ধ। বাবা-মা হয়ে যদি সন্তানের যোগ্যতা আর সাফল্য দেখতে বসি,তাহলে সমাজ দেখবে কি? আর রইল সময়ের কথা, আমার হাতে অঢেল সময়ের খোঁচা মাঝেমধ্যেই শুনতে হয় আমাকে, বিশ্বাস করুন আমার দিনও কিন্তু মাত্র ২৪ ঘন্টাতেই শেষ হয়ে যায়। তারই মধ্যে কি ভাবে নিজের জন্য তথা লেখালিখির জন্য সময় বার করি? ওটাকে বলে টাইম ম্যানেজমেন্ট।
No comments:
Post a Comment