তুত্তুরী ও তার সঙ্গীসাথীরা ২- ৩রা ডিসেম্বর,২০১৯
👧🏽-মা জানো তো অনুষ্ঠান(আসল নামটা উহ্যই থাক) না খুব বাজে ছেলে। সব মেয়েদের বিরক্ত করে। নোংরা ছেলে একটা।
👩🏽-অ্যাঁ! কি করে?
👧🏽-নাক খুঁটে গায়ে লাগাতে চায়। আমি কোনমতে অদ্রিজাকে ঠেলে দিয়ে ওর পিছনে লুকিয়ে পড়ি।
👩🏽-লুকিয়ে পড়িস😡? ঠ্যাঙাস না কেন? তুই নাকি ক্যারাটেতে কমলা বেল্ট?
-তাহলে তো ও আমাকে ছুঁয়ে দেবে-। ম্যাগোঃ🤢
তুত্তুরী ও তার সঙ্গীসাথীরা- ২৭শে অগস্ট ২০১৯
-মা জানো তো, আজ না স্কুলে দারুণ মজা হয়েছে।
-কেন?( আনমনে বলে ফেলেই প্রমাদ গুনলাম। আর নিস্তার নেই। ঝাড়া আধঘন্টা এখন কাটাতে হবে তুত্তুরীর স্কুলে)
-জানো মা, অনির্বাণ বলছিল,“মৌমিতা ইজ ডিস্টার্বিং মি”।
-বাঃ। তাতে মজার কি হল?
-মৌমিতা কে বলো তো? আমাদের ম্যাম।
-সর্বনাশ। তোরা আবার নালিশ করিসনি তো?
-নাঃ। অনির্বানের নামে নয়, তবে ঋদ্ধিমানের নামে নালিশ করেছে ঋতম।
-কেন?
-হিঃ। হিঃ। ঋদ্ধিমান বলেছে,“মৌমিতা ম্যাম ইজ অ্যান এলিফ্যান্ট”।
- য্যাঃ।
-হ্যাঁ গো। ঠিক হয়েছে। ম্যাম ওকে বকেছে। সেদিন আমার আঁকা ছবিটা দেখেও বলছিল,“ইয়োর এলিফ্যান্ট লুকস্ লাইক ইউ।”
-মজা করে বলেছে হয়তো।
জানো মা ম্যাম আজ গৌরবকেও বকেছে।
-আবার গৌরব কি করল?
-আরে টিফিন টাইমে আরল আর ঋতম বসে গল্প করছিল, গৌরব ওদের পাশ দিয়ে দৌড়ে যেতে যেতে বলল,“ম্যাম ইজ কামিং।ম্যাম ইজ কামিং।এই শালা ডরনেওয়ালা। ”
-হিঃ। হিঃ। বেচারী তোদের ম্যাম।
- তবে ম্যাম আজ শ্রেয়ণকে যা করেছে, তুমি ভাবতেও পারবে না।
-ওরে বাবা আবার শ্রেয়ণও?
-হ্যাঁ। আমি, অদ্রিজা, ঈশাণী আর শ্রেষ্ঠা মিলে ম্যামকে কমপ্লেন করেছিলাম।
-চারজনে মিলে একটার নামে? কেন রে?
-ছুটির আগের পিরিয়ডে শ্রেয়ণ আমাদের খুব বিরক্ত করছিল। খালি খালি জিভ বার করছিল আর দুই আঙুল দিয়ে কাঁচি চালিয়ে বলছিল,“সি আই ক্যান কাট মাই ট্যাং। সি আই ক্যান কাট মাই ট্যাং।” তো ম্যাম বললেন, “রিয়েলি শ্রেয়ণ?ইউ ক্যান? ওয়েট। ” বলে ব্যাগ থেকে একটা বড় কালো কাঁচি বার করে বললেন,“ক্যান ইউ ক্যারি দিস শ্রেয়ণ?” শ্রেয়ণ বলল,“ইয়েস ম্যাম। ” তখন ম্যাম বললেন,“দেন টেক দিস। এন্ড কাট ইয়োর ট্যাং। ” হিঃ হিঃ শ্রেয়ণ যা ভয় পেয়েছিল না। সত্যি যদি ম্যাম কেটে দিতেন,কি হত বলো মা।
পুনশ্চঃ পড়ার সময় মনে রাখবেন,তুত্তুরীর কল্পনাশক্তি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ এবং তুত্তুরীর একটি গরু আছে, যার নাম গৌরি। যিনি সাধারণতঃ গাছেই বিরাজ করেন।
No comments:
Post a Comment