Wednesday 24 February 2016

kabita

কোন কোন রাতে, কলুষিত মহানগরে মিষ্টি হাওয়া বয়। 
একটা একটা করে নিভে যায় চোখ ধাঁধানো নিওন আলো। 
মসলিনের মত মিহি জোছনা ছড়িয়ে পড়ে ,
বাতানুকূল যন্ত্র বন্ধ করে, জানলা খুলে দি আমি---
শক্ত মুঠিতে চেপে ধরি মুঠোফোন। 
তোমারও কি একা লাগে? কোন কোন রাতে ......
‪#‎Amianindita‬ ‪#‎Aninditasblog‬

অনির ডাইরি ১৩ই জানুয়ারী ২০১৬

ডাউনফল সিনেমাটি দেখে আবিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। যাকে বলে মন্ত্রমুগ্ধ আমেজ কাটতেই চাইছিল না। মঙ্গলবার সরকারের বদান্যতায় একটি উপরি ছুটি পেয়ে ভাবলাম, সান্যাল বাবুর দেওয়া হলোকাস্ট সিরিজের অপর একটি সিনেমা দেখি।ওণার নির্দেশ্য দ্বিতীয় সিনেমাটি হলকাটিন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সম্ভবত সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ছিল পোলান্ড। সবথেকে বড় ইহুদি নিধন যজ্ঞ আউৎসভিসের দেশ পোল্যাণ্ড। আগ্রাসী অত্যাচারী জার্মানদের থেকে পোল্যাণ্ডের অধিবাসীদের বাঁচাতে রাশিয়ার লাল ফৌজ আক্রমণ করল পোল্যাণ্ড। তদানিন্তন পোলিশ সরকারের নির্দেশে বিনা যুদ্ধে অস্ত্রত্যাগ করল পোলিশ সেনারা। এক বুক আশা, নাৎসী ফ্যাসিস্ট জার্মানির হাত থেকে বাঁচাবে বন্ধু লাল ফৌজের দল। কিন্তু রাশিয়ানদের মর্জি বোঝাভার। অকারণে ক্ষতবিক্ষত হল কিছু পোলিশ সেনা। অঙ্গহানি থেকে বাদ গেলেন না ক্রুশবিদ্ধ যীশুও। পোল্যাণ্ডের উড্ডীন পতাকা নামিয়ে টাঙিয়ে দেওয়া হল লাল নিশান। নামিয়ে নেওয়া পোলিশ পতাকা ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে জুতোর ওপর জড়াতে লাগল মহান লাল ফৌজের দল
আচমকা সকল বন্দী সিপাহীদের ছেড়ে দেওয়া হল। ছাড়া হল না কেবল হাজার বিশেক অফিসার তথা সেনানায়ককে। তৎকালীন পোল্যাণ্ডের আইন মোতাবেক সকল শিক্ষিত নব্যযুবককে বাধ্যতামূলক ভাবে সেনাদলে যোগ দিতে হত। অর্থাৎ বন্দী সেনানায়করা আদতে ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক, শিল্পী ইত্যাদি পোলিশ বুদ্ধিজীবীর দল। একটা দেশের ইন্টালিজেন্সিয়াকেই বন্দী করে নিয়ে গেল বন্ধু রাশিয়ার লাল ফৌজ
কাটিন সিনেমা শুরু হয় এই সন্ধিক্ষণে। যুদ্ধবন্দী জনৈক তরুণ পোলিশ সেনানায়ক আন্দ্রেজের তরুণী স্ত্রী অ্যানা তাদের বছর পাঁচেকের শিশুকন্যা নিকাকে নিয়ে যুদ্ধবিদ্ধস্ত পোল্যাণ্ডের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত খুঁজে বেড়ায় তার নিখোঁজ স্বামীকে। অবশেষে আন্দ্রেজের সাথে তাদের দেখা হয়, অ্যানা কাতর ভাবে মিনতি জানায় বাড়ি ফিরে যাবার জন্য। আন্দ্রেজ নাচার। সরকারের নির্দেশ বন্দী সেনানায়কদের রাশিয়া যেতে হবে। পালিয়ে যাবার যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও কর্তব্যের খাতিরে আন্দ্রেজ সহকর্মীদের সাথে পাড়ি দেয় অজানা বন্দী ভবিষ্যতের দিকে
আন্দ্রেজের প্রতীক্ষায় দিন গোনে তার বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, কন্যা। আন্দ্রেজের বাবা স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান বিরোধী কাজকর্ম তথা আবেগ চর্চা হচ্ছে আচমকা এই অপবাদে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই শিক্ষায়তন। আচার্য সমেত সকল প্রবীণ শিক্ষককে লেবার ক্যাম্পে অর্থাৎ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো নয়। আন্দ্রেজের বৃদ্ধ পিতা বাদ যান না। বেশি দিন বাঁচেন না বৃদ্ধ
আন্দ্রেজের মা আর স্ত্রী দিন গুনতে থাকে অধীর আগ্রহে, এই সময় জার্মানি রাশিয়া আক্রমণ করে। মস্কো থেকে শত খানেক কিমি দূরে গহীন জঙ্গলের মধ্যে তারা একাধিক গণকবর খুঁজে পায়। কবর খুঁজে পাওয়া যায় হাজার হাজার যুদ্ধবন্দী পোলিশ সেনানায়কের দেহ। ইতিহাসে যা কুখ্যাত হয় কাটিন গণহত্যা নামে। একটা দেশের গোটা ইনটেলিজেন্সিয়াকেই খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। কারা করেছিল এই নারকীয় গণহত্যা? জার্মানরা বলে রাশিয়া দায়ী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গোহারান হারে জার্মানি। অতঃপর সুপরিকল্পিত ভাবে জার্মানিকে দায়ী করা হয় এই হত্যাকাণ্ডের জন্য। যে বা যারাই সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছে, পৃথিবী থেকে সুকৌশলে মুছে দেওয়া হয় তাকে