অনির (পুজোর) ডাইরি ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৭
শুভ পঞ্চমী। পুজো মানেই হাওড়া। আমার শহর,প্রাণের শহর। আর কি সুন্দরই না সেজেছে আমার শহর। আলোর রোশনাইয়ে ধুয়ে যাচ্ছে কানা গলি থেকে রাজপথ। মণ্ডপে মণ্ডপে শানাই এর সুর,কোথাও বা বজ্রগম্ভীর কণ্ঠে দেবব্রত বিশ্বাস গেয়ে উঠছেন, “আগুনের পরশমণি।”সুসজ্জিত নারী-পুরুষ-শিশুদের আনন্দ কলতানে মুখরিত রাজপথে হাঁটা দায়।
এক নামী মলে বন্ধুদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা মেরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলাম হঠাৎ কে খপ করে কাঁধটা চেপে ধরল, “এই তুই অর্চনার ভাইঝি না?”
চমকে তাকিয়ে দেখি, এক ক্ষয়াটে বৃদ্ধা, মাথায় আমার সমানই হবে, পরনে একটা ম্যাড়ম্যাড়ে তাঁতের শাড়ি,যার একদিকটা মাটিতে লুটোচ্ছে, আর একদিকটা গোড়ালির ওপর উঠে গেছে, বেঢপ একটা লাল ব্লাউজ, সেফটিপিন দিয়েও শেপে আনা যায়নি, কাঁধ থেকে প্রায় ঢলে পড়ব পড়ব করছে, কাঁধে একটা ঢাউস ব্যাগ, পায়ে হাওয়াই চপ্পল আর কপালে একটা লাল টিপ। দেখেই চিনতে পারলাম, টুসি (নামটা পাল্টে দিলাম) পাগলী।
বহুদিন বাদে দেখলাম, সেই স্কুলের দিনগুলোতে প্রায়ই দেখা হত। ভীষণ রক্ষণশীল পরিবার আমাদের, পিসিই স্কুলে দিতে এবং ছুটির পর আনতে যেত। পথে প্রায় দিনই টুসি পাগলীর সাথে দেখা হত। দূর থেকে দেখতে পেলেই টুসি চিৎকার করে উঠত, “অসিমা দি! ও অসিমা দি! কেমন আছ?” অসিমা আদতে আমার পিসির নাম নয়, বড় জেঠুর নাম ছিল অসীম, পাগলী আর কাকে বলে, পিসির নাম ভুলে জেঠুর নামেই ডাকত।টুসি যে পাগল ছিল তা নিয়ে কোন সন্দেহ সেই বয়সে আমার ছিল না, কি রকম বেশবাস সে তো আগেই বর্ণনা দিয়েছি, তারওপর নিজের মনে সোচ্চারে বকবক করতে করতে রাস্তা হাঁটত। পাড়ার বা রাস্তার লোকজনের সাথে গায়ে পড়ে কথা বলত, যারা কেউই প্রায় জবাব দিত না।
আশ্চর্য হয়ে যেতাম, আমার পিসির কিন্তু টুসি পাগলীর সাথে কথা বলতে কোন আপত্তি ছিল না। প্রতিবার কথা বলার পর টুসি পাগলী চলে গেলে পিসি একটা কথাই বলত,”আহারে বড় অভাগা মেয়েটা।“ অর্চনা মানে আমার ছোট পিসির সাথে কোন এক মান্ধাতার আমলে একসাথে পড়াশোনা করত, আমাদের বাড়ি বহুবার খেলতেও এসেছে, টুসি। ছোট পিসির সাথে সাথে টুসির চুল বেঁধে দিয়েছে পিসি বহুবার, তারপর যা হয়, শৈশবকে সরিয়ে চুপি চুপি একদিন যৌবনের প্রবেশ। ১৩ বছর বয়সে পালিয়ে বিয়ে এবং ১৭ বছর বয়সে স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে যখন টুসি বাপের বাড়ির দরজায় এসে দাঁড়ালো, তখন গা ভর্তি মারের দাগ ছাড়াও বরের দেওয়া আরো দুটি জিনিষ সে সঙ্গে করে নিয়ে এল, দুই শিশুকন্যা। যার একটি ছিল সদ্যজাত।
সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে স্বামী পরিত্যক্তা কন্যাকে যাও বা মেনে নিত, সাথে আরো দুটি পেট? প্রথম চোটে নাকি বাড়িতেই ঢুকতে দেয়নি টুসির বাবা-দাদারা। দুই বাচ্ছা কে কোলে নিয়ে বাড়ির দরজায় বসে কেঁদেছিল টুসি আধবেলা। তারপর বাড়িতে মাথা গোঁজার জায়গা দিলেও বলা হল, নিজেদের খাবার জোগাড় নিজেকেই করতে হবে। ফাইভ- সিক্স পাশ মেয়েকে কে আবার চাকরী দেবে? অগত্যা আয়া গিরি।
যতদিন বাবা বেঁচে ছিল, তাও চলছিল, বাবার মৃত্যুর পর দাদারা দিল ভিন্ন করে, দুই মেয়ের লেখাপড়া, সংসারের খরচ চালাতে দুবেলা আয়া গিরি করতে শুরু করল টুসি। সাথে সাথে শুরু হল স্বভাব চরিত্র নিয়ে মৃদু গুঞ্জন, যে মেয়ের রাতে বাড়ি ফেরার ঠিক ঠিকানা নেই, তার স্বভাব চরিত্র নিয়ে রসালো আলোচনা হবে না? কবে থেকে যে টুসির মাথা বিগড়োতে লেগেছিল ঠিক নেই, তবে আমি যখন দেখেছি, নব্বই এর দশকে তখন টুসি পুরদস্তুর টুসি পাগলী।
আজ এত বছর বাদে এই আলোর উৎসবে সুসজ্জিতা নরনারীর মাঝে টুসি পাগলী বড়ই বেমানান, মূর্তিমতী বিষাদ। কত বছর তো কেটে গেল, এতটুকু পরিবর্তন হল না টুসি পাগলীর? শুধু চুল গুলো শনের নুড়ির মত পেকে গেছে, আর সামনের বেশ কয়েকটা দাঁত নেই। তাজ্জব হয়ে গেলাম, আমায় চিনল কি করে? আবার সেই প্রশ্ন,” তুই অর্চনার ভাইঝি না?এত রাতে রাস্তায় কি করছিস অ্যাঁ?” এর আগে কখনও কথার জবাব দিইনি, ভয় পেতাম, কামড়ে দেয় যদি, তবে মাঝে অনেক বছর কেটে গেছে, আজ আর সে ভয় নেই। বললাম, “হ্যাঁ গো পিসি। এই একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে ফিরছি। তা তুমি আছ কেমন?” কেমন আছ, জিজ্ঞেস করাতে কি যে খুশি হল, বুঝলাম, কেউ বোধহয় বহুদিন এই প্রশ্নটা করেনি। “ভালো আছি মা। তুই কেমন আছিস? বিয়ে থা করেছিস? সিঁদুর টিদুর কিছুই তো পড়িস না তোরা আর আজকাল। আমার মেয়েরাও—“। বলতে বলতে হঠাৎ বলল, “বড্ড খিদে পেয়ে গেছেরে। বাড়ি গিয়ে আর রাঁধতে পারব না, বাজার টাজারও কি যে আছে কে জানে? চল খাই।“ কি খাব? বাড়িতে মা রান্না করে বসে আছে, পইপই করে বলে দিয়েছে, বন্ধুদের সাথে যেন খেয়ে না ফিরি, কিন্তু পাগলী বুঝলে তো। হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে বসালো একটা ফাটা বেঞ্চে, দুপ্লেট পাউরুটি আর আলুর দম এল। বুঝলাম পাগলী প্রায় রোজ রাতেই এই খায়। পাতলা হ্লুদ ঝোলে ভাসমান চার টুকরো জ্যোতি আলু আর একটা সেঁকা কোয়াটার পাউন্ড রুটি। একটা কুকুর অমনি এসে পাগলীর গায়ে মুখ ঘষতে লাগল, তাকে আবার খানিক ছিঁড়ে দিল, সাথে সাথে কিছু গালমন্দও করল অবশ্য। তারপর আমার দিকে ফিরে বলল, “খা নারে মেয়েটা। ভাল লাগছে না? মামলেট খাবি?” হাতজোড় করে বললাম, এই খেতে পারছি না, চোখটা করুণ করে বলল, “ এরা এটা ভালোই করে বুঝলি। আমি রোজই খাই। অসুখ-বিসুক তো কিছু করে না। আর করলেই বা কি? মরে পড়ে থাকলেও কেউ জানতে পারবে না।“ চুপ করে দুজনের মুখ চলছে, শেষে আর থাকতে না পেরে বললাম, “পিসি তোমার মেয়েরা?” “ভালো আছে রে। একজন তো ইস্কুলে পড়ায়, জামাই ও টিচার। আর একজন কিছু করে না, ঘর সংসার সামলায়। ওর বর খুব বড় চাকরী করে।“ তাহলে? বলতে পারলাম না, তোমায় এখনও খেটে খেতে হচ্ছে?
কিছুতে পয়সা দিতে দিল না, ভিড় কাটিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছি দুজনে টুসি পাগলী বলল, “একদিন তোদের বাড়ি যাব জানিস। সেই যে ছেলেবেলায় কত গেছি, অর্চনার সাথে খেলতে, অসিমা দি জলখাবারের রুটি করত, আমাদের জন্য একটা করে রুটি কড়করে সেঁকে দিত জানিস, আর একটু খানি আখের গুড়, মাঝে মাঝে ভেলি গুড় ও দিত।“ দুজনেই নীরবে হাঁটছি, আশেপাশের আলোর রোশনাই কি হঠাৎ ম্লান হয়ে গেল? লাউড স্পিকার কি বিষাদের সুর ছড়াচ্ছে? এত কষ্ট হচ্ছে ? ভিড় এড়াতে একটা প্রায়ান্ধকার গলির মধ্যে দিয়ে শর্টকাট করতে গেলাম, প্রবল বকুনি দিল,টুসি পাগলী, ‘সোমত্থ মেয়ে, অন্ধকার গলি দিয়ে কেউ যায়? তোদের কবে বুদ্ধি হবে বাপু? আমার মেয়েদুটোও তোরই মত আকাট। তা না হলে, কেউ মায়ের পরিচয় দিতে লজ্জা পায়? বল?” টুসির গলা ধরে এল, আমার নজর মাটিতে, কষ্টটা হঠাৎ দমচাপা হয়ে উঠল, টুসি পাগলী এবার কাঁদতে লাগল, “ নাহয় আমার মাথার ঠিক নেই, না হয় আমি লোকের গু-মুত ঘাঁটি, নাহয় আমার স্বভাব- চরিত্র সীতার মত নয়, কিন্তু সে কাদের জন্য? তোরা বুঝলি না? কাদের জন্য খেটে খেটে আমার এই হাল, আর তারাই আজ বলে, তুমি আমাদের বাড়ি এস না? আরে তোরা নিজের মা কি খেল, কি পড়ল সে খবর রাখিস না, আর মাটির মা দুর্গাকে আট রকম ফল, নতুন শাড়ি দিয়ে পুজো দিয়ে ভাবিস মা তোদের মঙ্গল করবে?”
কখন বাড়ি পৌঁছে গেছি, খেয়ালই করিনি, আমাকে বাড়ির গেটে ঢুকিয়ে টুসি পাগলী বলল, ‘চলিরে মা, কাল আবার সকাল ছটার মধ্যে ডিউটিতে ঢুকতে হবে, মরণাপন্ন শ্বশুরকে আমার হেফাজতে রেখে সব ঠাকুর দেখতে বেরোবে।হেরে গেলে তো হবে না বল? লড়াই করতে হবে। করি, যতদিন পারি।“ গ্রীলের গেটটা বন্ধ করে জানি না মনে হল, পঞ্চমীতেই মায়ের দর্শন হল,মৃন্ময়ী নন, সাক্ষাৎ চিন্ময়ী, এ রকম কত মা প্রতিনিয়ত নিজের রক্ত-মাংস-যৌবন বিক্রি করে চলেছে, শুধু সন্তানদের খাদ্য শিক্ষা আর নিরাপত্তার স্বার্থে, সন্তান হয়ে যদি তাদের চরিত্র বিশ্লেষণ করতে বসেন, তবে দেবীর আরাধনার বৃথা চেষ্টা না করাই বোধহয় ভালো।
©anindita's blog
অনির (পুজোর) ডাইরি ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০১৭
কি লিখব বুঝতে পারছি না, বহু বছর বাদে আবার অনিন্দিতা চ্যাটার্জীর সাথে দেখা। সেই যে হোৎকা মত মেয়েটা, যার লিখতে ভালো লাগে, বেশ কিছুদিন লিখতে না পারলে যার মাথা ধরে যায়,চেনেন কি তাকে? ২০১৫থেকে মাথায় পোকা নড়েছে আর লিখে গেছে একটার পর একটা গল্প। শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলেছে,“ফেবুতে লেখা অনেক হয়েছে, এবার ছাপার অক্ষরে দেখতে চাই। ” শুভ্র দাস নামক দাদা মার্কা বন্ধু আছে, অনিন্দিতার নীতিনিষ্ঠ পাঠক, উনি তো ২০১৬র পুজোয় বলেই দিলেন,“আমরা(উনি এবং ওণার বিদুষী স্ত্রী) বলাবলি করছিলাম,এবার যে কটা শারদীয়া গল্প উপন্যাস পড়েছি, তার একটাও তোমার লেখার মত মনোগ্রাহী নয়। ” এই শুনে তো অনিন্দিতার ওজনই বেড়ে গেল ৫কেজি।
আর সেবার সেই যে চৈতালী বলে একটা আধপাগল বন্ধু বলেছিল,“কি ভাবে ছাপাতে হয় বল?আমরা চাঁদা তুলে ছাপাব।”
কি ভাবে ছাপাতে হয়, তা অনিন্দিতা কি জানে?খুঁজে খুঁজে যোগাড় করল এক নামী পাক্ষিক পত্রিকার মেল আই ডি। পাঠালো তার লেখা প্রথম গল্প, পরদিনই মেলের জবাব এল, ওয়ার্ড নয়, পিডিএফ ফাইল পাঠান। তাই পাঠালো, এবার জবাব এল ৩০০০শব্দের গল্প চাই। শব্দের লিমিট বেঁধে দিলে হয়?তাই সই। এবার আর কোন জবাব নেই। বেশ কয়েকটা অন্য পত্রিকার মেল আইডি যোগাড় করে পাঠালো- ধুস্ কিচ্ছু হয় না।
গোল্লায় যাক। অনিন্দিতার বাবা বলল,“লেখার আনন্দে লিখে যাও। ছাপা হবে কি হবে না তাতে কি আসে যায়?” লিখতে লিখতে কখনও সখনও হতাশ হয়ে পড়ত অনিন্দিতা,তখন তার নাক উঁচু বিশ্ব পাকা বরটা তাকে জ্ঞান দিত,“স্বয়ং কীটসই জীবিতাবস্থায় তার প্রাপ্য যশ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন, না খেতে পেয়ে টিবি হয়েছিল ওণার। আর ঘরের পাশে আমাদের জীবনানন্দ?জীবিত অবস্থায় এই খ্যাতি প্রচার কিছুই দেখে যেতে পাননি। মাণিক বন্দোপাধ্যায় পেয়েছিলেন? আর তুই ঘ্যানঘ্যান করে আমার মাথাটাই খারাপ করে দিলি। ”
তারপর একদিন ভুলেই গেল অনিন্দিতা। কত কিছুই তো ভুলেছে, যেমন কি ভাবে খাদ্যকৃচ্ছতা করতে হয়, কিভাবে রোগা হতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। ২০১৭র পুজোর দিনকয়েক আগের কথা হঠাৎ একদিন নবনীতা ফোন করল অনিন্দিতাকে। নবনীতাকে চেনেন না?অনিন্দিতার প্রাণের বন্ধু, দুজনেই হোৎকা এবং বিন্দুমাত্র নিজেদের ওজন নিয়ে ভাবিত নয়। কোন এককালে ওরকুটের জমানায় ওরা ঠিক করেছিল একটা “মোটি কমিউনিটি” খুলবে, “দুনিয়ার মোটি এক হও” এই শিরোনামে। সেসব তো সত্য ত্রেতা যুগের গপ্প,পরে কখনও হবে। আপাতত নবনীতা আব্দার করল,“শোননা তোর লেখা একটা গল্প দিবি?মেদিনীপুরে একটা বিরাট বড় পুজো হয়, বিধাননগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব, তাদের স্মরণিকায় ছাপা হবে। ” আহাঃ অনিন্দিতা দেখল, কুয়ো স্বয়ং গটগট করে মহম্মদের কাছে এসে উপস্থিত। জানতে চাইল,“শব্দ সংখ্যা কত?” আগের বারের ছ্যাঁকা ভোলেনি আমাদের অনিন্দিতা। নবনীতা জানাল, পুজো কমিটির হর্তাকর্তা আনন্দ বাবুকে অনিন্দিতার মেল আইডি দিয়ে দেবে তিনি জানাবেন শব্দ সংখ্যা কত। আনন্দবাবু সে রাতেই মেল করে জানালেন,“শব্দ সংখ্যা ৫০০। তবে আপনি লিখুন ৮০০ হলেও কোন সমস্যা নেই। এমনকি ১০০০হলেও আমরা খুশি হব। আপনার লেখা অসাধারণ লাগে। ”
এটা পড়ে সাময়িক ভাবে অনিন্দিতার মনে হল ওজন বোধহয় ১০-২০কেজি কমে গেল। ওর গল্প ওর হাতে গোণা বন্ধু বান্ধবের বাইরেও কেউ পড়ে? এবং তাদের অসাধারণ লাগে? হে ভগবান!!!!! বর চেপে না ধরলে ফ্যাতাড়ুর মত হাওয়ায়ই উড়ে যেত হয়তো। গভীর রাতে সব কাজ সেরে অনিন্দতা বসল গল্প বাছাই করতে। প্রথম ছাপার সুযোগ পেলে প্রথম লেখা গল্পটিই তো ছাপা হবার কথা। শব্দ সংখ্যা ৮৮৪। ব্যাস পাঠিয়ে দিল গল্পটা বৈদ্যুতিন চিঠি মারফৎ। বলেছিলাম না বরটা বিশ্ব পাকা!নৈর্ব্যক্তিক ভঙ্গীতে বলল,“চেয়েছিল দুর্গা পুজোর গল্প, পাঠালি লেসবো প্রেমের গল্প?তোর লেখা ছাপা হয়েছে আর কি। ” সর্বনাশ। ঘেমে নেয়ে বাকি গল্প ঘেঁটে ৮০০র মধ্যে কোন গল্পই জুটল না। আর দুর্গা পুজোর সময় লেখা গল্প একটাই “আলতামাধবী”। শব্দ সংখ্যা ১২০০+। আনন্দবাবুকে জিজ্ঞাসা করে তাই পাঠালো অনিন্দিতা। উনি জানালেন দুটি গল্পই ওণার দারুণ লেগেছে, তবে এ বছরের জন্য “আলতামাধবী”---
পুনশ্চ -অনিন্দিত চ্যাটার্জী তার মুষ্টিমেয় পাঠককে শুধু বলতে চায় - শুধু আপনারা আছেন বলেই লিখি। শত আলস্যেও বাগিয়ে ধরি ল্যাপটপ বা মোবাইল।খুব খুব ভালো থাকুন সবাই-- পুজো কাটুক আনন্দে। শুভ শারদীয়া। শুভ ষষ্ঠী।
What ever I like...what ever I feel.... form movies to books... to music... to food...everything from my point of view.
Monday, 25 September 2017
অনির (পুজোর) ডাইরি ২০১৭
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment